ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

ঈদে বাড়ি যাবেন, প্রস্তুতি শেষ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬
ঈদে বাড়ি যাবেন, প্রস্তুতি শেষ?

ঈদের খুশি উপভোগ করতে  আমরা অনেকেই যাচ্ছি গ্রামের বাড়ি। প্রিয় মানুষগুলো যেমন আমাদের অপেক্ষায়।

আমরাও তাদের সাথে মিলিত হতে শহরের সব কাজ গোছাচ্ছি।  

অনেকেই সব প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছেন। শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা আর ঘরের সব ঠিকঠাক রেখে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পরার অপেক্ষা।  

যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন

যেহেতু বাসা ছেড়ে কিছুদিনের জন্য যাচ্ছেন, এই কয়দিনের জন্য আপনার খালি বাসায় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য একটি অতিরিক্ত তালার ব্যবস্থা করুন। পুরো বাড়ি যদি খালি রেখে যেতে হয়, তবে প্রতিবেশীদের বলুন যেন খেয়াল রাখে।  

বাড়ির দারোয়ানের নাম্বার মনে করে নিয়ে নিন।  


বাসার গাছ পশু-পাখি কোথায় রাখবেন তাই ভাবছেন?

প্রথমে দেখুন আপনার আশেপাশে নির্ভরযোগ্য আন্তরিকতা সম্পন্ন কে আছেন, যারা ঈদে এখানেই থাকবেন। তার কাছেই আপনি সবকিছু আগে থেকেই বুঝিয়ে পশু-পাখির অতিরিক্ত খাবার কিনে দিন। প্রয়োজনে তার কাছে রাখার জন্য সুবিধামত নতুন একটা খাঁচা কিনে নিন। এক্ষেত্রে আপনি যেতে পারেন কাটঁবন, নিমতলী অথবা কাপ্তান বাজারে। এসব জায়গায় আপনি বিভিন্ন নান্দনিক ডিজাইনের খাঁচা পাবেন।  

আর যদি একান্তই এরকম কাউকে না পাওয়া যায় তবে গাছগুলো বারান্দায় রেখে পুরাতন পানির বোতলে পানি ভর্তি করে মুখে ছোট একট ছিদ্র করে ছিদ্রযুক্ত অংশ নিচের দিক সামান্য কিছু গাছের গোড়ায় মাটিতে পুতে দিন। আর পশু-পাখির খাচাঁ একটু আলো বাতাসের জায়গায় রেখে বেশি পরিমাণ খাবার ও পানি দিয়ে রেখে যেতে পারেন আথবা বিভিন্ন পাখির দোকনে বিশেষ একটা খাবার পাত্র পাবেন যেটায় অতিরিক্ত খাবার দিয়ে রাখলেও তেমন নষ্ট হয়না পরিমান মত খাবার পাত্র থেকে বের হয় বলে। আপনি তেমন পাত্রগুলোও কিনে নিতে পারেন। আর এভাবেই ঈদ ভ্রমণকালীন সময়ে আপনি অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন আপনার এই শখের গাছ ও পশু-পাখিগুলোর বিষয়ে।


পথের খাবার
একেবারে খালি পেটে ভ্রমণ করবেন না। আবার খুব ভরা পেটেও নয়। খেয়ে ভ্রমণের সময়  তেল-মসলাযুক্ত না খেয়ে হালকা খাবার খান। পথে খাওয়ার জন্য রাস্তার খোলা খাবার কিনে না খেয়ে সঙ্গে রাখুন পানি, ফল ও হালকা বিস্কুট বা ক্র্যাকার্স।  


 হতে পারে বৃষ্টি, তাই...

দীর্ঘ সময় শহরে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে হঠাৎ করে ঈদের সময় গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে সঙ্গে বড়দেরও চলাফেরায় একটু আধটু অসুবিধায় পড়াটাই স্বাভাবিক।  


কিন্তু একটু সচেতন হলে এ সমস্যা থেকে অনেকটাই সমাধান পাওয়া সম্ভব। যেমন, যাওয়ার আগে বাড়িতে একটু ফোন করে জেনে নিতে পারেন আপনার এলাকার রাস্তাঘাটের বর্তমান পরিস্থিতি। যেহেতু এখন সময়টা এমন যে এই রোদ আবার এই ঝুম বৃষ্টি। তাই বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচনেও লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রথমেই নিয়ে নিন ছাতা বা রেইন কোট। ব্যাগের ক্ষেত্রে নির্বাচন করুন রেক্সিন, প্লাস্টিক বা রাবার জাতীয় উপকরণে তৈরি ব্যাগ। কাদা-পানি থেকে রক্ষার জন্য নিতে পারেন রাবার, রেক্সিন বা স্পঞ্জের জুতা।  

ওষুধ নিয়েছেন তো...
ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো শারীরিক সমস্যা হলে বাড়ির অনেকরই নিয়মিত কিছু ওষুধ খেতে হয়। এছাড়া জার্নিতে অনেকের বমি হয়, ঈদের খাবার খেয়ে হতে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা, এসব রোগের ওষুধ ছাড়াও কিছু স্যালাইন আর মাথাব্যথার ওষুধও সঙ্গে নিন। এন্টিসেপটিক ক্রিম, ব্যথানাশক ক্রিমও নিয়ে নিন একটি করে।  

নিরাপদে বাড়ি ঘুরে আসুন। কখনোই বাড়তি যাত্রী হয়ে যানবাহনে উঠবেন না।  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।