ত্বকের দীপ্তি ফেরাতে বাজারে নানা রকম উপাদানে তৈরি মাস্ক রয়েছে। কোন ত্বকের জন্য কোনটি ভালো, না বুঝে ব্যবহার করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
শুষ্ক ত্বক: ত্বকের ধরন কারও কারও বেশ শুষ্ক হয়। মুখে কোনো ঔজ্জ্বল্য থাকে না। এমন ত্বকের জন্য দরকার হয় আর্দ্রতার। সেজন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে হাইড্রেটিং জেল বা ক্রিম মাস্ক। এই ধরনের মাস্ক ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দিতে এবং সেই আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত শিট মাস্ক বা অন্য কোনও মাস্ক এ জন্য আদর্শ। কারণ, মুখে আর্দ্রতা জোগাতে এই উপাদান একাই একশো।
জেল্লাহীন ত্বক: কারও ত্বক শুষ্ক না হলেও জেল্লা থাকে না। মুখের কোনও কোনও অংশ কালচে হয়। এমন ত্বকের জন্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যুক্ত প্রসাধনী জরুরি। দরকার হয় এক্সফোলিয়েশনের, যাতে ত্বকে জমা মৃত কোষ পরিষ্কার করা যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি যুক্ত কোনও মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের কালচে ভাব দূর করে দীপ্তি ফেরাতে কাজে আসতে পারে নিয়াসিনামাইডও।
স্পর্শকাতর: কারও ত্বক হয় স্পর্শকাতর। এমন ত্বকে যে কোনো জিনিস মাখা যায় না। সুগন্ধী, অ্যালকোহল মিশ্রিত কোনো প্রসাধনী বা মাস্ক এমন ত্বকের উপযোগী নয়। বরং ক্যালেন্ডুলা, ক্যামোমাইল অয়েল রয়েছে এমন উপাদান মিশ্রিত মাস্ক বেছে নেওয়া যায়।
পরামর্শ, মুখের জন্য মাস্ক বেছে নেওয়ার আগে সেটি ত্বকের ওপর পরীক্ষিত কি না জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের ধরন স্পর্শকাতর হলে ক্লে মাস্ক বা এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক এড়িয়ে চলা ভালো।
এএটি