ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আল-আমিনেরর জবাবের বিষয়ে শুনানি ১৬ অক্টোবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
আল-আমিনেরর জবাবের বিষয়ে শুনানি ১৬ অক্টোবর আল আমিন হোসেন

ঢাকা: একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে স্ত্রী ইসরাত জাহানের মামলায় ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের দাখিল করা জবাবের বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ১৬ অক্টোবর।  

বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আল-আমিনের দাখিল করা জবাবের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।

 

এদিন আল-আমিন আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। অপরদিকে আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
 
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আল আমিনের জবাবের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
 
গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান আল-আমিন। এরপর ৬ অক্টোবর স্ত্রীর মামলায় জবাব দাখিল করেন তিনি। জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৫ আগস্ট স্ত্রীকে তিনি তালাকের নোটিশ দিয়েছেন।  

তিনি মোহরানা ও ইদ্দতকালীন খরপোষ দিতে রাজি আছেন। আর দুই সন্তানের খরচ তিনি নিয়মিত দিচ্ছেন। এরপর আদালত ১২ অক্টোবর শুনানির দিন রাখেন।  

এর আগে, একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস ও মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে গত ৭ সেপ্টেম্বর আল আমিনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন স্ত্রী ইসরাত জাহান। মামলায় পারিবারিক সহিংসতা সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ ও বিধিমালা ২০১৩ এর ১৫(১)(ক)(খ)(গ)/১৬ (৫)(৬) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।  
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে ২৭ সেপ্টেম্বর হাজির হওয়ার সমন দিয়েছিলেন৷

মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না এবং খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন, যোগাযোগও করেন না।

আরও বলা হয়, ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং সংসার করবেন না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯ নম্বরে টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।