ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন 

ঢাকা: একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস ও মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

 

এদিন আল আমিন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা বন্ডে আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর আল আমিনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন স্ত্রী ইসরাত জাহান। মামলায় পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ ও বিধিমালা ২০১৩ এর ১৫(১)(ক)(খ)(গ)/১৬ (৫)(৬) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণের পর মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে ২৭ সেপ্টেম্বর হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না এবং খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন, যোগাযোগও করেন না।

আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং সংসার করবেন না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯- নম্বরে টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।

সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন। পরকীয়ায় আসক্তের কারণে এ কাজ করেছে এবং একজন নারীর সঙ্গে উঠানো ছবি ইসরাতে কাছে পাঠায়।

মামলায় বলা হয়, আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দুই বছর যাবৎ আসামি বাদীর খোঁজখবর নেয় না এবং বাসায় নিয়মিত থাকে না। এর কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলাটি দায়ের করলেন। জীবন ধারণের জন্য মাসিক ৪০ হাজার টাকা, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়াবাবদ ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।