ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ব্যাংক ডাকাতি ও খুন: জঙ্গিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
ব্যাংক ডাকাতি ও খুন: জঙ্গিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাইল ছবি

ঢাকা: আশুলিয়ায় কমার্স ব্যাংকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও আটজনকে হত্যার দায়ে জঙ্গিসহ ছয়জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর আশুলিয়া থানার পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে। বাবুল সরদার, মিন্টু প্রধান, উকিল হাসান ও শাহজাহান জমাদার ছাড়া অন্য সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে উল্লেখ করা হয় চার্জশিটে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল দিনদুপুরে আশুলিয়ায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের গুলি ও চাপাতির কোপে ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ওয়ালি উল্লাহ, দুই নিরাপত্তা প্রহরী কাজী বদরুল আলম ও ইব্রাহীম, ব্যাংকের গ্রাহক সাহাবুদ্দিন পলাশ, স্থানীয় ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদসহ আটজন নিহত হন। ব্যাংকের ভল্টে থাকা ছয় লাখ ৮৭ হাজার ১৯৩ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় বোরহান উদ্দিন ও সাইফুল নামের দুই ডাকাতকে জনগণ হাতেনাতে ধরে ফেলে পিটুনি দেয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাবুল সরদার ও মিন্টু প্রধানকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন ব্যাংকের কর্মকর্তা ফারদিন হাসান আশুলিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩১ মে রায় দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান।

রায়ে জঙ্গিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্য দুই আসামিকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়ে। অন্য দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামিরা হলেন— বোরহান উদ্দিন, সাইফুল ওরফে আল-আমিন, মিন্টু প্রধান, মো. জসিম উদ্দিন, মো. মাহফুজুল ইসলাম ওরফে সুমন ও পলাশ ওরফে সোহেল রানা।

আসামি উকিল হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আবদুল বাতেন ও শাহজাহান জমাদারকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাবুল সরদার ও মোজাম্মেল হককে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

শুনানি শেষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত উকিল হাসানকে খালাস দিয়ে বাকিদের দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।