ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টির জামিন মেলেনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টির জামিন মেলেনি

ঢাকা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

 

গত ১৩ জুন এ মামলায় আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। সেদিন আবেদনের ওপর আংশিক শুনানি হয়। পরে অধিকতর শুনানির জন্য ৩০ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।  

সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পরিদর্শক (সহকারী পরিচালক) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানান।  

মামলার আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।  
গত ২২ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আগাম জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। একইসঙ্গে তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করতে বলা হয়।

সে অনুযায়ী গত ২৩ মে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি চার কার্যদিবস জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতাকে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। পরে নিজেরা এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।