ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জামিন বাতিলের বিরুদ্ধে সম্রাটের আবেদনের শুনানি ৬ জুন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
জামিন বাতিলের বিরুদ্ধে সম্রাটের আবেদনের শুনানি ৬ জুন

ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের আবেদনের ওপর শুনানি পিছিয়েছে।

তার আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ৬ জুন শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ২৩ মে সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আবেদনটি শুনানির জন্য ৩০ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।

ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৮ মে হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করেছেন।

একই সঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।

এ জামিন বাতিলের বিরুদ্ধে সম্রাট আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

এদিকে ২৪ মে তিনি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত ১১ মে অবৈধ সম্পদের মামলায় সম্রাটের পক্ষে করা জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান।

চারটি মামলার মধ্যে তিনটিতে আগেই জামিন পেয়েছিলেন সম্রাট। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা ছিল না।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
ইএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।