ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি  রফিকুল ইসলাম মাদানীর ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট আমলে নিয়ে শুনানির এই দিন ধার্য করেন।



মামলার অপর আসামি হলেন- মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জা। শুনানিকালে মাদানীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাদানীর পক্ষে এদিন তার আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী জামিন আবেদন করেন। আর মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন চান তার আইনজীবী পাপিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে মাদানীর জামিন আবেদন নাকচ করে মাহমুদুলের জামিন স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।  

২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন রফিকুল মাদানীর নামে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র, সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবমাননা ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়।

এই মামলায় ২০২১ সালের শেষের দিকে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি তারিখে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বদলি হয়ে এই ট্রাইব্যুনালে আসে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ বিক্ষোভ চলাকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এরপর একই বছর ৭ এপ্রিল নেত্রকোনার বাড়ি থেকে রফিকুল মাদানীকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় তার চারটি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়। মোবাইলফোনগুলোতে বেশ কিছু বিদেশি পর্নো ভিডিও পাওয়া যায়। পরের দিন তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। এরপর গাছা থানায় দায়ের করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সেই থেকে ঢাকা ও গাজীপুরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা, নাশকতাসহ বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে গত ২৬ জানুয়ারি একই বিচারক গাজীপুরের গাছা থানায় র‌্যাবের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।