ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

২৫ বছর পর হত্যা মামলার রায়, আসামি খালাস 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
২৫ বছর পর হত্যা মামলার রায়, আসামি খালাস 

ফেনী: দীর্ঘ ২৫ বছর পরে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ফেনী সদরের ধলিয়ায় গৃহবধূ সাফিয়া খাতুন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।  

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন।

 

গত ৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।  

ফেনী জজ কোর্টের এপিপি ধীজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক জানান, এ মামলার আসামি ইউছুফ জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।  

এ মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনই সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি। বাদী, ডাক্তার, তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অভিসিদ্ধি চাকমাসহ ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।  

২০১১ সালের ২০ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত আর কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। গত ১০ বছরে সাক্ষ্য দিতে আসেননি কেউ। ৩৪ বার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণের পরও সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব সমাপ্ত করে আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হয়।

মামলার নথিপত্রের বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজেন্দ্র কুমার ভৌমিক জানান, ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ভোরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী সাফিয়া খাতুনকে হত্যা করা হয়।  

এ ঘটনায় মৃত লোকমান আলীর ছেলে আবুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা তদন্ত করেন এসআই সত্যজিৎ বড়ুয়া। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা সংস্থাকে হস্তান্তর করা হয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই অভিসিদ্ধি চাকমা ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের লতফুর হকের ছেলে মো. ইউছুফকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।  

তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ স. ম হারুন ওসমানীর আদালত ১৯৯৭ সালের ২৫ নভেম্বর চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। ১৯৯৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
এসএইচডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।