ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ই-অরেঞ্জে কোটি কোটি টাকা আটকা, হাইকোর্টে ৩৩ গ্রাহক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
ই-অরেঞ্জে কোটি কোটি টাকা আটকা, হাইকোর্টে ৩৩ গ্রাহক

ঢাকা: দিনাজপুরের বিরামপুরের এক যুবক বিভিন্ন সময়ে মোট ৭০ লাখ টাকার পণ্য কিনতে অনলাইনে পেমেন্ট করেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জকে। কিন্তু এখনও কোনো পণ্য পাননি।

এমনকি ফেরত পাননি অর্থও।
 
তার মতো ঢাকার দিদার হোসেন বাবু, মাগুরার প্রসেনজিত কুমার দত্ত এবং ফরিদুপরের রিজভী আহমেদসহ দেশের ৩৩ ব্যক্তি কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে পণ্য না পাওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন হাইকোর্টের।
 
এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ থেকে সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা পাওনাদার রয়েছেন।
 
গত ২৩ সেপ্টেম্বর তারা রিট করেছেন। আর রিট আবেদনটি রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত রয়েছে।
 
রিটে বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান, সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি, ই-অরেঞ্জ শপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মোট ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়।
 
আবেদনে ই-কমার্সে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা/নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং  ভুক্তভোগী গ্রাহকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
 
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন; ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে রিসিভার নিয়োগ; অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা; ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মানিলণ্ডারিইং হয়েছে কি না, তা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
 
শিশির মনির জানান, ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল ই-অরেঞ্জ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রিটে আবেদনকারী ৩৩ জন ভুক্তভোগী গ্রাহকের ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ভাউচার এবং বিভিন্ন দ্রব্যের ক্রয়াদেশ সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা নির্দিষ্ট সময়ের পরেও তাদের ক্রয়কৃত পণ্য বা তাদের টাকা বুঝে পাননি। এ কারণে রিট করেছেন।
 
এদিকে, প্রতারণা করে গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে ১৭ আগস্ট আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আরও পড়ুন: 

স্বামীসহ ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া কারাগারে

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
ইএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।