ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হেলেনার স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হেলেনার স্বীকারোক্তি

ঢাকা: রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ ক্ষমতা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির বহিষ্কৃত সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সাজেদা লতা আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

হেলেনা জাহাঙ্গীর যখন এ মামলায় জবানবন্দি দিচ্ছিলেন তখন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। আদালত বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

একইদিনে পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম। তবে মঙ্গলবার পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের এক মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।

গত ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

ওইদিনই তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১ ধারায় এই মামলা করেন র‌্যাব-১ এর সিপিও মজিবুর রহমান। মামলায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া সরকারি অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র ব্যতীত জয়যাত্রা টিভি সম্প্রচারসহ প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে পরিচালনা করার অভিযোগে পল্লবী থানার মামলায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে এই মামলা হয়। একই থানায় জয়যাত্রা টিভির সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন তার বিরুদ্ধে  চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন।

সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। এই সংগঠনের দেশে-বিদেশে শাখা খুলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়ার কথাও বলা হয়। এ নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের মধ্যেই বিতর্কের ঝড় ওঠে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad