ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জজ কোর্টেও জামিন পাননি ছাত্র-যুব অধিকারের ১০ নেতাকর্মী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
জজ কোর্টেও জামিন পাননি ছাত্র-যুব অধিকারের ১০ নেতাকর্মী

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল থেকে এক আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ১০ নেতাকর্মীর জজ কোর্টেও জামিন মেলেনি।

রোববার (২০ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এ ১০ জন হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক সজল ও ঢাকা কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল করিম সোহাগ, আসাদুজ্জামান, মোমিন আকন্দ, আরিফুল ইসলাম, মো. শিপন, রোকেয়া জাবেদ মায়া ও তাওহিদুল ইসলাম শিপন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিদের নাম এজাহারে নেই। তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়নি। হয়রানিমূলকভাবে তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়ছে। প্রায় আড়াই মাস সময় তারা কারাগারে আছেন। যেকোনো শর্তে জামিন দেওয়া হলে তারা পালাবেন না।

রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) ফরিদ আহমেদ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

পুলিশের উপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে শাহবাগ থানার অপর একটি মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১৯ এপ্রিল তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। গ্রেফতারের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।  

এরপর সিএমএম আদালতে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়।  

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পুলিশ চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা তাকে জোরপূর্বক পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় একইদিনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন পল্টন মডেল থানার এসআই রায়হান করিব। মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বর্তমান সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, সোহরাব, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।