ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

এমসি ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: সংক্ষুব্ধ বাদী, যাচ্ছেন উচ্চ আদালতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এমসি ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: সংক্ষুব্ধ বাদী, যাচ্ছেন উচ্চ আদালতে

সিলেট: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় ধার্য তারিখে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পূর্বের ধার্য তারিখ ২৪ জানুয়ারি বাদীকে হাজির করতে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন আদালত।

এতে সংক্ষুব্ধ বাদী ও তার আইনজীবী।

এ কারণে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালতে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখে সাক্ষী দিতে কেউ হাজির হননি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে গত রোববার (২৪ জানুয়ারি) এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন ছিল। ওই দিন একই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও চাঁদাবাজি মামলার বিচারের সাক্ষ্যগ্রহণ একই আদালতে গ্রহণের আবেদন করি। কিন্তু আদালতের বিচারক আবেদন নাকচ করে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন এবং বাদীকে গ্রেফতার করে হাজিরের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, এ কারণে বাদী সংক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হবেন। এ জন্য বুধবার (২৭ জানুয়ারি) আমরা সময় চেয়েছি। আদালত বলে দিয়েছেন, উচ্চ আদালত থেকে কোনো আদেশ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও বিচার শুরুতেই সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুতে মামলার ন্যায় বিচার নিয়ে আমরা সন্দিহান।

আইনজীবী আরও বলেন, এটা ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্টের মামলা। অথচ দুজন আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী রাখা হয়নি। যে কারণে মামলাটি পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে গেলে সুবিধা পাবেন আসামিরা। এসব কারণে উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন বাদী।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ওইদিন এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় পৃথক মামলা দায়েরক্রমে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও আদালতে এ দুটি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ একসাথে করার আবেদন করেছিলেন বাদীপক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী। কিন্তু আদালত সেটা নাকচ করে দিয়ে বাদীকে গ্রেফতার করে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় মোট ৫১ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।