ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২, ১০ মে ২০২৫, ১২ জিলকদ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অরিত্রীর মায়ের জেরার দিন পেছালো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৭, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
অরিত্রীর মায়ের জেরার দিন পেছালো

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলায় অরিত্রীর মায়ের জেরা হয়নি।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারীর জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল অসুস্থ থাকায় জেরার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করে আসামিপক্ষ।

আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আগামী ৫ জানুয়ারি অরিত্রীর মায়ের জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

গত ২৩ আগস্ট অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী সাক্ষ্য দিলেও আসামিপক্ষ তাকে জেরা করতে পারেননি। তাই তাকে জেরার আবেদন করেছিল আসামিপক্ষ।

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে অরিত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

গত বছর ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণে অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  

গত বছর ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ২৫ নভেম্বর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর সাক্ষ্যের মাধ্যমে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।