ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

রোববার দেশে ফিরছেন না পি কে হালদার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
রোববার দেশে ফিরছেন না পি কে হালদার পি কে হালদার

ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের অর্থ পাচারের ঘটনায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ২৫ অক্টোবর এমিরেটস এয়ারওয়েজে করে বিদেশ থেকে দেশে আসার জন্য টিকিট কাটার কথা আদালতকে অবহতি করেছিলেন।

সে দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার নিশ্চিত করতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

কিন্তু শনিবার (২৪ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে জানিয়েছেন-পি কে হালদার ২৫ অক্টো্বর রোববার দেশে ফিরছেন না।

শনিবার দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাংলানিউজকে জানান, প্রথমে ফোন করে এবং পরে মেইল করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আইনজীবী জানিয়েছেন, যে পি কে হালদার করোনার কারণে ২৫ অক্টোবর ফিরছেন না। আমরা বিষয়টি আদালতকে জানাবো।

দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এর মধ্যে দেশে ফিরতে প্রশান্ত কুমার হালদার এ বিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন করতে কোম্পানিটির কাছে একটি পত্র দেন। এরপর কোম্পানিটি আদালতে আবেদন করে। ৭ সেপ্টেম্বর আদালত বলেছেন তিনি কখন কীভাবে আসবেন তা জানাতে। পরে ২০ অক্টোবর একটি আবেদন করেছে কোম্পানিটি। যেখানে নির্বিঘ্নে দেশে আসার কথা বলা হয়েছে এবং সেখানে ২৫ অক্টোবরের একটি টিকিটের কপিও সংযুক্ত করা হয়।

২১ অক্টোবর হাইকোর্ট এ বিষয়ে এই আদেশ দেন। আদেশে দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার গ্রেফতার নিশ্চিত করতে বল হয়। পরে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক, ইমিগ্রেশন অথরিটিরি চিফ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন।

খুরশীদ আলম খান ২১ অক্টোবর বলেন, আদালতের আদেশ মতে, তিনি নামার সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হ্যান্ডওভার হবে। মামলায় গ্রেফতার করে আইনের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেটা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে ইনফর্ম করতে হবে এফিডেভিট এর মাধ্যমে এবং সে কোম্পানি কোর্টের কাজে সহযোগিতা করবে পাওনাদারদের টাকা কীভাবে পরিশোধ করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
ইএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।