ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সাবরিনার স্বামী আরিফুল ফের রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
সাবরিনার স্বামী আরিফুল ফের রিমান্ডে

ঢাকা: করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরীকে ফের চারদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ জুলাই) ঢাকার মে‌ট্রোপলিটন ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৩ জুন আরিফুলসহ চারজন‌কে দুইদি‌নের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

রিমান্ড শেষে তাদের ২৭ জুন কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া আরিফুরের স্ত্রী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনাকে ১৩ জুলাই তিনদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

সাবরিনার রিমান্ড চলাকালেই বুধবার ফের আরিফুলের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি। সেই রিমান্ড শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরিফুলকে কারাগার থেকে উপস্থিত দেখানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন আরিফুলের সহযোগী সাঈদ চৌধুরীরও চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

গত ২৩ জুন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিমানবন্দর, আশকোনা ও গুলশান-২ নম্বরের কনফিডেন্স টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। পর‌দিন তা‌দের দু’‌দি‌নের জন‌্য রিমা‌ন্ডে নি‌য়ে জিজ্ঞাসাবা‌দের অনুম‌তি দেন আদালত।

ওই‌দিনই হুমায়ুন ক‌বির ও তানজীনা পা‌টোয়ারী না‌মে গ্রেফতার অপর দুজন আদাল‌তে ১৬৪ ধারায় স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেন। প‌রে তা‌দের কারাগা‌রে পাঠা‌নো হয়।  

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হুমায়ুন কবির এ চক্রের মূলহোতা। তানজীনা পাটোয়ারী তার স্ত্রী। তাদের নেতৃত্বে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতো এবং ভুয়া রিপোর্ট দিতো। চক্রটি জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতো।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, আটকরা করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেন। তবে নমুনা সংগ্রহের পর তা আর পরীক্ষা করা হয় না। তাদের নেই কোনো ল্যাব। কম্পিউটারে ফলাফল লিখে ই-মেইলে তা রোগীর কাছে পাঠিয়ে দেন। এভাবে এরই মধ্যে ৩৭ জনের ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট জানিয়ে দেন তারা।

নমুনা সংগ্রহের সময় রোগীর বাহ্যিক উপসর্গ দেখে একটা ধারণা থেকে ফলাফল তৈরি করেন। করোনার বাহ্যিক উপসর্গ দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ উল্লেখ করা হয়। কোনো উপসর্গ না দেখা দিলে তার রিপোর্টে নেগেটিভ উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।