ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

করোনা: মানবিক কাজে সুপ্রিমকোর্টের আরও আট আইনজীবী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২০
করোনা: মানবিক কাজে সুপ্রিমকোর্টের আরও আট আইনজীবী

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের মধ্যে সবাইকে ঘরের থাকার নির্দেশনা দেওয়ায় বিপাকে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এগিয়ে আসছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা। তারা ওই সব মানুষের দৈনন্দিন খাবারের ব্যবস্থা করছেন। পাশাপাশি চিকিৎসকদের জন্য প্রায় আড়াই শতাধিক পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ করেছেন।

এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার নিজ এলাকা মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে দুই ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের মানুষদের খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজ এলাকা হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬টি রেইন কোর্ট দিয়েছেন।

তার নিজ ব্যবহৃত গাড়ি করোনা রোগী বহনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন।

এছাড়া ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন ও তার স্ত্রী চিকিৎসক খাদিজা সিদ্দিকা রাজধানী ঢাকার কমলাপুরের একটি গ্যারেজের ১২ রিকশাচালককে আপদকালীন সময়ে প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের বন্দোবস্ত করেছেন।

এরপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান কয়েকজন কাজের বুয়ার খাবার ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন।

তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, #করোনার জন্য উদ্ভুত এই বিশেষ কঠিন পরিস্থিতিতে, বাসায় যারা কাজ করেন বিশেষ করে যারা বিভিন্ন বাসায় কাজ (ছুটা কাজ) করেন তারা অনেকই অসহায় অবস্থায় আছেন। বিভিন্ন বাসায় কাজ করার জন্য তারা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন। এই পরিস্থিতিতে, তাদের অবস্থা যে খুব ভালো তা কিন্তু নয়।

#আমি এমন একজনকে চিনি যার ৩ মেয়েকে সহ পরিবার চালাতে হয় যেখানে ১ মেয়ে গর্ভবতী। উপরন্তু, তিনি নিজেই অসুস্থ। তাই, এই কঠিন সময়ে তিনি সহ এমন মোট ১৪ জনের খাবার, ঔষধের চিকিৎসার খরচের দায়িত্ব নিলাম। প্রার্থনা করি, মহান আল্লাহ আমাকে এই পরিশ্রমী নারীদের প্রতি সহযোগীতা ও সম্মান করার তৌফিক দেন।

#এই ধরনের সহযোগীতা খুব বেশি ব্যয়বহুল নয়। আমরা বাইরে যেসব রেস্টুরেন্টে খাবার খাই তা এখন বন্ধ। সেই টাকা থেকেই একটি অসচ্ছল পরিবার চলতে পারে। তাই, নিজ নিজ অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করতে পারি।
 
এদিকে আব্দুল কাইয়ুম লিটন তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের প্রিয় কিছু ভাই ও বোনের সহযোগিতায় মোহাম্মদপুর এলাকার আরো একটি রিক্সা গ্যারাজের পঁচিশ জন রিকশাচালক ভাইকে আগামী এক মাসের দৈনিক তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছি। ঢাকা শহরে প্রান্তিক মানুষের সংখ্যা আমার জানা নেই তবে এটা জানি বিত্তবানদের সংখ্যাই বেশি আর তারা ইচ্ছে করলেই প্রান্তিক মানুষগুলার দায়িত্ব নিতেই পারেন। আসুন সবাই এই মহৎ কাজের সফলতা কামনা করি এবং যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের জন্য দোয়া করি।
 
বুধবার (১ এপ্রিল) বাংলানিউজকে তিনি জানান, এ কাজে ৩ আইনজীবী সহায়তা করেছেন। কিন্তু তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

খাবারের ব্যবস্থা ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে অপর তিন আইনজীবীর সহযোগিতায় আব্দুল কাইয়ুম লিটন আড়াই শতাধিক পিপিই চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, মৌলভীবাজারে পাঠিয়েছেন। এ কাজে যে তিন আইনজীবী সহায়তা করেছেন তারা হলেন, ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন, ব্যারিস্টার কামরুন নাহার মাহমুদ দীপা ও আফরোজা ফিরোজ মিতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।