ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া ঢাকার ২৩১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া ঢাকার ২৩১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

ঢাকা: পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ঢাকায় থাকা ২৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  
 
এছাড়া বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ পাড়ে বর্জ্য ফেলানো বন্ধে এবং নদীতে সরাসরি পতিত লাইন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকার ডিসি, এসপি, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক, কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 
 
এসব আদেশ পালন করে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
 
আদালতে বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।

পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে যে মামলা করা হয়েছিল সেই মামলায় ইতিপূর্বে আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরকে- বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ যেসব ইন্ডাস্ট্রিগুলো করছে, পরিবেশ লাইসেন্স ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিগুলো চলছে তাদের একটা তালিকা দেওয়ার জন্য। সে তালিকা দাখিল করা হয়েছে। দাখিল করে তারা বলেছে ২৩১টি কারখানা ঢাকা শহরে পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে। লাইসেন্স ছাড়া চলা ২৩১টির বিষয়ে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন অনতিবিলম্বে এগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য এবং আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য। পরিবেশ অধিদপ্তর বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস এ তিনটি অথরিটিকে জানাবে এদের লাইসেন্স নেই। তাদের সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। এ লাইন বন্ধ করার মাধ্যমে ২৩১টি বন্ধ হয়ে যাবে। আরও কারা কারা লাইসেন্স ছাড়া চলছে তাদের বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখানে আসবে’।
 
বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ওই রিট করা হয়েছিলো। সে রিটের শুনানি শেষে তিন দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ১ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
 
চলতি বছরের শুরুতে এ রায় নিয়ে এইচআরপিবি একটি সম্পূরক আবেদন করেন।
 
ওই আবেদনের পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জনস্বার্থে করা এক রিট মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে ২০১১ সালে আদালত অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বুড়িগঙ্গার ভেতরে যেসব সুয়ারেজ লাইন আছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইন আছে সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশের পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার তীরে যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সেজন্যে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে।  
 
তিনি আরও জানান, কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এই নির্দেশনাগুলো পুরোপুরি পালন না করায় এ সম্পূরক আবেদন করা হয়েছিলো।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০,২০২০
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।