ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

যে আট লক্ষ্যে বিডিআর বিদ্রোহ

ইলিয়াস সরকার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
যে আট লক্ষ্যে বিডিআর বিদ্রোহ হাইকোর্ট। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ২০০৯ সালে পিলখানায় যারা বিডিআর বিদ্রোহ করেছে তাদের আটটি মূল লক্ষ্যের কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় বুধবার (৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে এ আটটি লক্ষ্য উল্লেখ করেছেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী।
 
তিন বিচারপতির দেওয়া ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার মধ্যে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ১১ হাজার ৪০৮ থেকে ২৭ হাজার ৯৫৯ পৃষ্ঠা পর্যন্ত লিখেছেন।

তার রায়ে মামলার প্রেক্ষাপট, ঘটনার পারিপাশ্বিকতা ও নৃশংসতার সচিত্র পর্যবেক্ষণ, প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক আইনের প্রয়োগ ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের সঙ্গে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার একমত পোষণ করেছেন।
 
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রাইফেলসের বিভাগীয় কতিপয় উচ্চাভিলাষী সদস্য ও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা ও উস্কানিতে সাধারণ ও নবাগত সৈনিকরা প্ররোচিত ও বিভ্রান্ত হয়ে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল-
 
এক. সেনা কর্মকর্তাদের জিম্মি করে যেকোনো মূল্যেই দাবি আদায় করা।
 
দুই. বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করে এ সুশৃঙ্খল বাহিনীকে অকার্যকর করা।
 
তিন. প্রয়োজনে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিডিআরে প্রেষণে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা।
 
চার. সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা।
 
পাঁচ. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৮ দিনের নবনির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের প্রয়াসে অস্থিতিশীলতার মধ্যে দেশকে নিপতিত করা।
 
ছয়. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা।
 
সাত. বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা।
 
আট. জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বিডিআরের অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় দেশের অন্যান্য বাহিনীর অংশগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত করা ইত্যাদি।
 
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের ওপর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
ইএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।