ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পুলিশকন্যা রুম্পার প্রে‌মিক সৈকত কারাগা‌রে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
পুলিশকন্যা রুম্পার প্রে‌মিক সৈকত কারাগা‌রে

ঢাকা: স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের ইংরেজি বিভাগের (স্নাতক) ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার (২০) মৃত্যুর ঘটনায় তার ‘কথিত প্রেমিক’ সৈকতকে চারদি‌নের রিমান্ড শে‌ষে কারাগা‌রে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। 

শুক্রবার (১৩ ডি‌সেম্বর) তা‌কে আদাল‌তে হা‌জির ক‌রে কারাগা‌রে পাঠা‌নোর আ‌বেদন ক‌রেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডি‌বির প‌রিদর্শক আকতারুজ্জামান ই‌লিয়াস। অপর‌দি‌কে আসা‌মিপ‌ক্ষে আব্দুল হা‌মিদ ভূঁইয়া জা‌মিন আ‌বেদন ক‌রেন।

শুনা‌নি শে‌ষে জা‌মিন আ‌বেদন নামঞ্জুর ক‌রে আদালত তা‌কে কারাগা‌রে পাঠান।

শ‌নিবার (১৪ ডি‌সেম্বর) সৈক‌তের আইনজীবী আব্দুল হা‌মিদ ভূঁইয়া জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবা‌দে ঘটনার স‌ঙ্গে সৈক‌তের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়‌নি। আমরা তার জা‌মিন আ‌বেদন ক‌রে‌ছিলাম। আদালত জা‌মিন আ‌বেদন নামঞ্জুর ক‌রে তা‌কে কারাগা‌রে পা‌ঠি‌য়ে‌ছেন।

এর আ‌গে গত ৮ ডি‌সেম্বর ‌সৈক‌তকে চার‌দি‌নের রিমা‌ন্ডে পাঠান অন্য এক‌টি আদালত।

গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের দুই ভবনের মধ্য থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহ দেখে আশপাশের লোকজন চিনতে না পারায় মৃতের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সংগ্রহ করা হয়।
রুম্পার বাবা হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক। বাবা হবিগঞ্জে থাকলেও মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার শান্তিবাগে থাকতেন তিনি।

পারিবারিক সূত্র জানায়, রুম্পা দু’টি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরনো স্যান্ডেল পায়ে বেরিয়ে যান তিনি।  

কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরেননি রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনেরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর তা‌কে মামলায় গ্রেফতার দেখা‌নো হয়।

জানা গেছে, রুম্পার সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র ছাত্র ছি‌লেন। প্রেমঘ‌টিত জ‌টিলতার কার‌ণে সৈকত সম্প্র‌তি স্টামফোর্ড ছে‌ড়ে অন্যত্র ভ‌র্তি হন ব‌লে জানা গে‌ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
কেআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।