ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

গ্রিনলাইন: রাসেলের ক্ষতিপূরণের রুল শুনানি ১১ ডিসেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
গ্রিনলাইন: রাসেলের ক্ষতিপূরণের রুল শুনানি ১১ ডিসেম্বর

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গ্রিনলাইন বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে জারি করা রুলের ওপর শুনানির জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, রিট আবেদনকারী আইনজীবী বিষয়টি উপস্থাপনের পর আদালত ১১ ডিসেম্বর রুল শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
 
এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সংরক্ষিত আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ও বর্তমানে কৃষকলীগের নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

এর মধ্যে রাসেলের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, বাস কর্তৃপক্ষ তার কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। পরে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার আদেশ দিয়ে চিকিৎসার জন্য খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিল।
  
পরে ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে পাঁচলাখ টাকার চেক দেয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বাকি ৪৫ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ এক মাস সময় দেন হাইকোর্ট।

পরে চিকিৎসার জন্য খরচ দিলেও অবশিষ্ট টাকা দেয়নি। এরপর ১৫ মে হাইকোর্ট ওই টাকা দিতে ২২ মে পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু এই সময়েও তারা কোনো যোগাযোগ করেনি। এরপর আদালত একমাস সময় দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ জুন রাখেন। পরে ২৫ জুন আদালত কিস্তিতে টাকা (প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা করে) শোধের আদেশ দিয়েছিলেন।

এরপর ২৯ জুলাই আরও ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করার পরবর্তী আদেশের জন্য ১৭ অক্টোবর দিন রাখেন। এর মধ্যে গ্রিনলাইন পরিবহনের মালিক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।  

১৩ অক্টোবর রাসেল সরকারকে টাকা (পরিশোধের অর্থ বাদ যাবে) দেওয়ার আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

ওইদিন রাসেল সরকারের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রাসেল সরকারকে টাকা দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন। তবে এর মধ্যে দুই কিস্তিতে দেওয়া অর্থ বাদ যাবে। এ অর্থ বাদ দেওয়ার পর বাকি যা থাকবে তার ওপর হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।