সর্বনিম্ন সাত বছর সাজা পেয়েছেন মানি লন্ডারিংয়ের মামলায়। এছাড়া তার মায়ের সঙ্গে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড হয়েছে ১০ বছরের।
তারেক রহমান চিকিত্সার জন্য ২০০৮ সালে উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে লন্ডনে যান। পরে তার জামিন বাতিল করে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়। তিনি না আসায় পলাতক হিসেবে রায় ঘোষণা করা হয় বিভিন্ন মামলায়।
মানি লন্ডারিং মামলা
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন>>
** অামি অাল্লাহর কাছে বিচার দিলাম: বাবর
২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় ২০১৩ সালে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের দণ্ড হলেও তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হয়।
এর বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের পর ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়- এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে বিদেশ থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা ক্ষমতার অপব্যহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাত্ করা হয়েছে।
এ মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি অন্য আসামিদের সঙ্গে তারেক রহমানকে ১০ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াকে দেওয়া হয় ৫ বছরের দণ্ড।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। এ ঘটনায় দীর্ঘ ১৪ বছর শেষে বুধবার (১০ অক্টোবর) রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে অপর ১১ আসামিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
ইএস/এমএ