ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আদালতে বোমা হামলা, এক জেএমবির ফাঁসি বহাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৬
আদালতে বোমা হামলা, এক জেএমবির ফাঁসি বহাল

ঢাকা: ২০০৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতে বোমা হামলার ঘটনায় দুই মামলায় জেএমবি সদস্য মাসুমুর রহমান মাসুমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

মাসুম এবং রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি নিয়ে বুধবার (০৬ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

একইসঙ্গে ওই দুই মামলায় জেএমবির অপর সদস্য আমজাদ আলীকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মামলা পুনর্বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আদালতে মাসুমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।

জানা যায়, ২০০৫ মালের ৩ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে বিচার চলাকালে বোমা হামলা চালায় জেএমবির সদস্যরা। এ হামলায় ওই আদালতের বিচারক এম এ সুফিয়ান, বেঞ্চ অফিসার মো. শফিকুল্লাহসহ কয়েকজন বিচারপ্রার্থী গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে পরে মজিবুল হক নামে এক বিচারপ্রার্থী মারা যান।

ওই দিনই জেলা আদালতের নাজির বজলুর রহমান লক্ষ্মীপুর থানায় মামলা করেন। এ দুই মামলায় লক্ষ্মীপুরের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট মাসুম, আতাউর রহমান সানী ও আমজাদ আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
এর মধ্যে অন্য মামলায় সানীর ফাসি কার্যকর হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। পাশাপাশি তাদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য নথি হাইকোর্টে আসে।

দুই আসামির আপিল ও ডেথরেফারেন্সর ওপর শুনানি শেষে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট মাসুমের মৃত্যুদণ্ড বহাল ও আমজাদ আলীকে খালাস দেন।

পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মাসুম এবং আমজাদ আলীর খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রায়ের পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার বলেন, দুই মামলায় আপিল বিভাগ মাসুমের আপিল খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। আমজাদ আলীর ক্ষেত্রে আপিল বিভাগ ওই দুই মামলায় পুনর্বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণে আমজাদ আলীকে কমডেম সেল থেকে কারাগারে স্থানান্তর করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
ইএস/এমজেএফ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।