ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার আসামি রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি ও মেহেদী হাসানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া অপর আসামি নাহিদ হাসান পাপেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামি রাব্বি ও মেহেদীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ। অপর আসামি নাহিদ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রাব্বি ও মেহেদীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর নাহিদকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় গত ১৪ মে তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন বিকেল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গত ১৭ মে প্রথম দফায় তাদের ছয় দিনের ও ২৪ মে দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন।
এছাড়া ২৬ মে মো. রিপন এ মামলায় স্বীকারোকাতিমূলক জবানবন্দি দেন। একইদিন আসামি সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আর আসামি সুজন সরকারকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
কেআই/এমজেএফ