ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন, ধর্ষণচেষ্টায় শ্বশুরের ৫ বছর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন, ধর্ষণচেষ্টায় শ্বশুরের ৫ বছর আদালতের রায়: প্রতীকী ছবি

রাজশাহী: রাজশাহীতে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধে তার শ্বশুরকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (২) বিচারক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বর্ধনপুর হিন্দুপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা (২৮) ও তার বাবা আবুল কালাম (৫০)। আদালত আবুল কালামকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। অনাদায়ে আরও তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গোলাম মোস্তফাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ের পর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুন্নাহার মুক্তি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি গোলাম মোস্তফা প্রায়ই তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার যুথীকে নির্যাতন করতেন। আর তার বাবা আবুল কালাম তার ছেলের বউকে কুপ্রস্তাব দিতেন। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আবুল কালাম তার ছেলের বউকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

এ ঘটনার পর সেদিনই শিশুপূত্রকে নিয়ে যুথী বাবার বাড়ি চলে যান। পরে মাঠে কাজ শেষে সন্ধ্যায় গোলাম মোস্তফা তার মায়ের কাছে এসব বিষয় জানতে পারেন। এরপর রাতেই তিনি শ্বশুরবাড়ি যান। শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার নামে গোলাম মোস্তফা তাকে বাড়ির পাশের আরেকটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যান। ফাঁকা এ বাড়িতে তিনি যুথীর গলা টিপে ধরেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা যুথীর চিৎকারে সেখানে গেলে মোস্তফা পালিয়ে যান। পরে যুথীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর মোস্তফা বাড়ি গিয়ে তার বাবাকেও কুপিয়ে আহত করেন। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে যুথীকে হত্যার অভিযোগে মোস্তফার বিরুদ্ধে মামলা করেন যুথীর বাবা। একই মামলায় যুথীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার শ্বশুর আবুল কালামকেও আসামি করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধে শ্বশুরকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।