ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

চতুর্থবারের মতো ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
চতুর্থবারের মতো ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর

ঢাকা: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা সাকিলা সুমু চৌধুরী জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এ নিয়ে এই মামলায় চতুর্থবারের মতো জামিন নামঞ্জুর হলো।

এর আগে, হাইকোর্টে জামিন নামঞ্জুরের পর গত মঙ্গলবার ফের সিএমএম আদালতে জামিন আবেদন করেন ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ফখরুলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক সপ্তাহের এ রুল জারি করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই সময় তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি।

এ ঘটনায় ফখরুলের নামে ১১টি মামলা হলেও ইতোমধ্যে নিম্ন আদালত থেকে ১০ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এই এক মামলায় জামিন না হওয়ায় তার মুক্তি আটকে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।