ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

বিশ্বের নয়নাভিরাম ৫টি মসজিদ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
বিশ্বের নয়নাভিরাম ৫টি মসজিদ .

জহির মসজিদ, মালয়েশিয়া: জহির মসজিদ মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে অবস্থিত। এটি মালয়েশিয়ার অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। সুলতান তাজউদ্দিন মুকারাম শাহর ছেলে টুংকু মাহমুদের অর্থায়নে ১৯১২ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। মূলত ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার আজিজি মসজিদের আদলে ও স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে এটি নির্মাণ করা হয়। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের কথা মাথায় রেখেই মসজিদটিতে পাঁচটি গম্ভুজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই মসজিদের প্রাঙ্গণে প্রতি বছর বার্ষিক কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

জহির মসজিদ, মালয়েশিয়া।  ছবি: সংগৃহীত

ফয়সাল মসজিদ, পাকিস্তান
ফয়সাল মসজিদ পাকিস্তানের বৃহত্তম মসজিদ।

 রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত এ মসজিদ ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মসজিদটির শিল্প-নকশা করেন তুর্কি স্থপতি ভেদাত ডালোকে। দেখতে মসজিদটি অনেকটা মরুভূমির বেদুঈনদের তাঁবুর মতো। বিশ্বে ইসলামাবাদের প্রতীক হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়।

ফয়সাল মসজিদ, পাকিস্তান।  ছবি: সংগৃহীত

মসজিদটি নির্মাণে সমর্থন এবং আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করেন সৌদি বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ।  তাই এই মসজিদটি বাদশাহ ফয়সালের নামে নামকরণ করা হয়।  ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এটি পৃথিবীর (মক্কা-মদিনার পর) বৃহত্তম মসজিদ ছিল। পরবর্তীতে মরক্কোর হাসান-২ মসজিদ নির্মাণ হলে ফয়সাল মসজিদ দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে।

ফয়সাল মসজিদ, পাকিস্তান।  ছবি: সংগৃহীত

তাজুল মসজিদ, ভারত
তাজুল মসজিদ ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ এবং বিশ্বের অন্যতম বড় মসজিদ। মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের শাসনামলে নবাব শাহজাহান বেগম কর্তৃক নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে আল্লামা মুহাম্মাদ ইমরান খান নদভী আজহারি এবং মাওলানা সাইয়্যেদ হাসমত আলী সাহেব ১৯৮৫ সালে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। মসজিদের তিনটি গম্বুজ ও দু্ইটি সুউচ্চ মিনার এবং সামনে বিশাল চত্বর রয়েছে। মসজিদের ভেতর-বাইরে এক লাখ ৭৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। ৪৩ লাখ স্কয়ার ফুটের এই মসজিদটির চত্বরের মাঝখানে রয়েছে বিশাল পানির হাউস।

তাজুল মসজিদ, ভারত।  ছবি: সংগৃহীত

সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ, ব্রুনেই
১৯৫৮ সালে ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। এটি ব্রুনাইয়ের রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানে অবস্থিত। মসজিদের প্রধান গম্বুজের বাইরের অংশ সম্পূর্ণ খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি। পাঁচ একর জমির ওপর নির্মিত এ মসজিদের ভেতরের অংশে একসঙ্গে তিন হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটি নির্মাণে অত্যন্ত মূল্যবান গ্রানাইট, মার্বেল ও ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়।

সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন মসজিদ, ব্রুনেই।  ছবি: সংগৃহীত

বাদশাহি মসজিদ, পাকিস্তান
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এই মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৬৭১-১৬৭৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানের লাহোরে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। ওই সময় এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। সামনের সুবিশাল চত্বরসহ মসজিদের আয়তন প্রায় দুই লাখ ৭৬ হাজার স্কয়ার ফুট। ১৯৬ ফুট উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন আটটি মিনার ও তিনটি গম্বুজ মসজিদটিকে বেশ দৃষ্টিনন্দন করেছে।  লাল মার্বেল পাথরে তৈরি মসজিদটি এতটাই সুদর্শন যে, ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে তা সহজেই স্থান করে নিয়েছে।

মসজিদের রাজকীয় সিঁড়ির ২২টি ধাপ পেরিয়ে মূল ফটকে পৌঁছতে হয়। আর মূল ফটকে ক্যালিগ্রাফিতে মসজিদের নাম লেখা রয়েছে, ‘মসজিদ আবুল জাফর মহিউদ্দিন মুহাম্মাদ আলমগীর বাদশাহ গাজী। ’ ভেতর আর আঙিনা মিলে এই মসজিদের ধারণক্ষমতা এক লাখ মুসল্লি।

বাদশাহি মসজিদ, পাকিস্তান।  ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।