ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

নিউজিল্যান্ডে কোরআন তেলাওয়াতে সংসদ অধিবেশন শুরু 

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
নিউজিল্যান্ডে কোরআন তেলাওয়াতে সংসদ অধিবেশন শুরু  পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের সংসদ অধিবেশন শুরু করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে শুক্রবারের বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন বাংলাদেশিসহ ৫০ জন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ৪৯ জন। এ হামলার পর শোকাবহ তৈরি হয় পুরো বিশ্বজুড়ে। ভয়াবহ এই ঘটনার পর প্রথমবারের মতো অধিবেশন বসেছে নিউজিল্যান্ড সংসদে। কিন্তু দেশীয় নিয়মে ভিন্নতা এনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সংসদ অধিবেশন শুরু করা হয়। এতে ইমাম নাজমুল হক থানভী কোরআনের তিনটি আয়াত তেলাওয়াত করেন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

সংসদ অধিবেশন শুরু করার ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন: এখানে

পার্লামেন্টে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন সংসদে তার ভাষণে ক্রাইস্টচার্চ হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।  এ ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও পরিবারগুলো অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবে বলেও তিনি জানান।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের সংসদ অধিবেশন শুরু করার দৃশ্য।  ছবি: সংগৃহীত

পুরো ভাষণে তিনি কোথাও হামলাকারীর নাম উল্লেখ করেননি। হামলাকারী জঙ্গির নাম তিনি মুখে নিতে চান না বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে।

এর আগে মর্মান্তিক এ সন্ত্রাসী কর্মেকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা শোকাবিদ্ধ হৃদয়ে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, সহমর্মিতা জানাতে তিনি কালো পোশাকের সঙ্গে হিজাবের মতো করে মাথায় কালো ওড়না জড়িয়েছেন। তার চোখ দুইটি অশ্রু ছলোছলো। এছাড়াও সহানুভূতি প্রকাশমূলক বক্তব্যের শুরুতে তাকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে মুসলিমরা যেমন আছে

শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজ শুরুর ঠিক ১০ মিনিট পর অন্তত দুই বন্দুকধারী দু’টি মসজিদে গিয়ে সেজদারত মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। উভয় মসজিদেই তখন অন্তত ৩শ’ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

হামলাকারী দু’জন সামরিক পোশাক পরে মসজিদ দু’টিতে ঢোকে। এরপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তাক করে নির্বিচারে গুলি করতে থাকে। একজন হামলাকারী তার মাথায় ক্যামেরা স্থাপন করে তা লাইভস্ট্রিম করে। হামলার ভয়াবহতা ভিডিও গেমসের চেয়েও বর্বরোচিত দেখা গেছে। হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট (২৮) অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের মৌলবাদী মানসিকতার লোক ছিল বলেও জানা গেছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সকালে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে কারাগারের সাদা শার্ট এবং হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে হাজির করা হলে কাঠগড়ায় ব্রেন্টন হাতের আঙুল দিয়ে একটি চিহ্ন দেখিয়েছেন, যা ‘White supremacist or power- শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব’ বর্ণবাদের প্রতীক বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দিয়ে শনিবার (১৬ মার্চ)  স্থানীয় সময় সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন আদালত আত্মপক্ষ সমর্থনে আনার জন্য কোনো আবেদন ছাড়াই পুলিশের হেফাজতে ব্রেন্টনকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ০৫ এপ্রিল। এ দিন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের উচ্চ আদালতে তাকে হাজির করা হবে।

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।