ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

নেকাব পরে জরিমানা হলে পরিশোধ করেন রশিদ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
নেকাব পরে জরিমানা হলে পরিশোধ করেন রশিদ বোরকা পরিহিত এক নারীর পাশে রশিদ নেক্কাজ, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সুইজারল্যান্ডে আইন অনুযায়ী বোরকার নেকাব পরতে গিয়ে মুসলিম নারীদের যে জরিমানা গুনতে হয়, সেটা বহন করছেন ফ্রান্সের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী রশিদ নেক্কাজ। এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বোরকা বা নেকাবধারী মুসলিম নারীদের ওপর জরিমানা আইন প্রণয়ন করে সুইজারল্যান্ড সরকার।

আর দেশের এসব নারীদের সহায়তায় ফ্রান্সের আলজেরিয়ান বংশোদ্ভুত মুসলিম ওই দরদি ব্যক্তি রশিদ শুরু থেকেই এগিয়ে আসেন জরিমানা গুনতে। ইতোমধ্যেই নারীদের হয়ে হাজার হাজার ইউরো তিনি পরিশোধও করেছেন।

২৩ সেপ্টেম্বর গ্যালেনে গণভোটে জনসাধারণের মধ্যে বোরকা নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট হয়। ইউরোপের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড এ ধরনের আইন করতে ভোটগ্রহণ করে। তারপর দেশটির সরকার আইনটি প্রণয়ন করে ফেলে। যদিও এ আইন ঘিরে অনেক মানুষ প্রতিরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

এদিকে, গত সপ্তাহে সুইস শহর সেন্ট গ্যালেনের রাজধানীতে নেকাব পরিহিত একজন নারীকে করা জরিমানা অর্থ পরিশোধ করেছেন রশিদ।

ওই অর্থ পরিশোধ করে রশিদ বিবৃতিতে বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার ভিত্তিতে সকল নারীকে তাদের মুখ ঢেকে রাখা উচিত। কর্তৃপক্ষ এই স্বাধীনতার সম্মান দেওয়াও উচিত। আর আমি পাবলিক প্লেসে বোরকা বা নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোর বিরোধী। কারণ আমি ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।

এর আগে ২০০৯ সালে পূর্ণাঙ্গ পর্দা নিষিদ্ধমূলক দ্রুত প্রস্তাবিত আইনের ক্ষেত্রে রশিদ সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকায় ছিলেন। এছাড়াও ২০১০ সালে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, তিনি এক মিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল গঠন করছেন, যার অর্থ তিনি পর্দানশীন নারীদের জরিমানা পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যয় করবেন। তিনি এ প্রকল্পের শিরোনাম দিয়েছিলেন ‘জোরো অব দ্য নিকাব’।

সুইস সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ২০১০ সাল থেকে রশিদ সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীপের ছয়টি দেশে এক হাজার ৫৫৩ টি জরিমানা পরিশোধ করেছেন। যা অর্থ ছিল তিন লাখ ১৮ হাজার ইউরো।

রাশিদ নেক্কাজ একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক (সিইও) হিসেবে কর্মরত। তিনি ২০০৭ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং পরের বছর মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তুমুল আলোচনায় আসেন। তবে নির্বাচনের শর্ত পূরণ করতে না পারায় প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারেননি তিনি। ১৯৭২ সালে প্যারিসের শহরতলিতে আলজেরীয় অভিবাসী পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফ্রান্স ও আলজেরিয়া দুই দেশেরই নাগরিক। তিনি ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয়। ২০০০ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এমএমইউ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।