ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

কোরআনিক জাদুঘর

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
কোরআনিক জাদুঘর

জাদুঘর বা সংগ্রহালয় বলতে বোঝায় এমন ভবন বা প্রতিষ্ঠান যেখানে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের সংগ্রহ সংরক্ষিত থাকে। সাধারণত জাদুঘরে বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বস্তু-সামগ্রী স্থান পায়।

বিশ্বের অধিকাংশ জাদুঘর বড় শহরে অবস্থিত। অবশ্য এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। হাল সময়ে ছোটো শহর, মফস্বল এলাকা ও গ্রামাঞ্চলেও জাদুঘর গড়ে উঠতে দেখা যায়।

অতীতকালে জাদুঘর গড়ে উঠত সৌখিন কোনো ধনী ব্যক্তির ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এ সব জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকত বিভিন্ন শিল্পকর্ম, দুষ্প্রাপ্য ও আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক বস্তু অথবা পুরাবস্তু। বিশ্বজুড়েই জাদুঘর দেখা যায়। তবে বর্তমান সময়ে জাদুঘরের ধরন ও প্রকৃতিকে বেশ পরিবর্তন এসেছে।

পরিবর্তনের এই ধারাবাহিকতায় এবার পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত প্রাণীর সমন্বয়ে বিশেষ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারাকায় পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত প্রাণীর সমন্বয়ে পর্যটন, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষামূলক এ জাদুঘর উদ্বোধন হবে। বিশ্বে এ ধরনের জাদুঘর এটাই প্রথম।

জাদুঘরটি শারাকার চারুকলা কলেজের আর্কিটেকচার এবং অভ্যন্তরীণ ডিজাইন বিভাগের ছাত্রী ‘মাহাম আমরুল য়ুম’-এর থিসিসের সূত্র ধরে নির্মাণে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ প্রকল্পটি আগ্রহী ব্যক্তিদের পবিত্র কোরআনের সাথে অধিক পরিচয় করানোর উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এ জাদুঘরে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত প্রাণীদেরকে দর্শনার্থীদের দেখার জন্য উপস্থাপন করা হবে।

জাদুঘরের পরিকল্পনাকারী মাহাম আমরুল য়ুম বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার আগে এ সম্পর্কে সঠিক চিন্তা, আলোচনা, গবেষণা, পর্যালোচনা এবং সমীক্ষা করা হয়েছে।

মাহাম বলেন, জরিপে পরিলক্ষিত হয় যে, বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৭৫ শতাংশ জনগণেরই পবিত্র কোরআনে যে সব প্রাণীর কথা উল্লেখ রয়েছে এ বিষয়ে শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র কোরআনে যে সব প্রাণীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলোর ভাস্কর্য এ জাদুঘরে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রাণীগুলোর প্রকৃত সাইজের ওপর ভিত্তি করে এ ভাস্কর্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে দর্শনার্থীরা সহজেই পবিত্র কোরআনে কারিমের হেকমত সম্পর্কে জানতে পারে।

আলোচিত জাদুঘরটি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। যাতে করে আকর্ষণীয় ও সুন্দরভাবে দর্শনার্থীদের চাহিদা মেটানো যায়।

কোরআনিক জাদুঘরের জন্য আমিরাতের শারাকা নামের নতুন শহরকে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ শহরে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে।

এছাড়াও এ শহরে কোরআনে বর্ণিত গাছ-গাছালি ও ফল-ফুলের গার্ডেন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই গার্ডেনে পবিত্র কোরআনে যে সব (প্রায় ৫১টি) গাছপালার কথা উল্লেখ হয়েছে- সেগুলো রোপণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।