ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কেমন হবে যুদ্ধরত রাশিয়ায় ‘বিজয় দিবসের’ উদযাপন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২২
কেমন হবে যুদ্ধরত রাশিয়ায় ‘বিজয় দিবসের’ উদযাপন? বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজের সময় রাশিয়ান সেনারা। ফাইল ছবি

ঢাকা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিনটিকে (৯ মে) বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া। ঐতিহাসিক কারণে ইউরোপে বিভিন্ন দেশও ভিন্ন নামে দিবসটি পালন করে।

ফ্রান্স ও স্লোভাকিয়াতে এদিন সর্বাত্মক ছুটি পালন করা হয়।

নাৎসিদের বিরুদ্ধে যারা জার্মানিতে লড়াই করেছেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মরণে ৮ মে দিবসটি পালন করে বার্লিন। নেদারল্যান্ডসে এই দিবসটি পালন করা হয় ৫ মে। আর রাশিয়া এটিকে বিজয় বা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ৯ মে। খবর: ডয়চে ভেলে

সোমবার (৯ মে) দিনটি উদযাপন ঘিরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন কোনো ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বছর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া তা কিভাবে উদযাপন করবে সেদিকে নজর সারা বিশ্বের। গত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দিনটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জার্মান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের ২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই দিনটিকে সামনে রেখে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে ইতিহাসের একপাক্ষিক বর্ণনাই তুলে ধরছেন পুতিন। চলতি বছর এ দিনটিকে ঘিরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নতুন করে তিনি অপপ্রচার ছড়াতে পারেন এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

জার্মানির ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক দলের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রোডেরিখ কিজেভেটার মনে করেন, পুতিন এই দিন ইউক্রেন যুদ্ধে নিয়োজিত হাজার হাজার সেনা সদস্যকে প্রভাবিত করতে পারেন। তথ্য অনুযায়ী, দেশটির অধিকৃত বন্দরনগরী মারিউপলে বড় ধরনের সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করতে পারে রুশ বাহিনী।

এদিকে দিনটি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী কিয়েভে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কি বলেন, আবারো শয়তান ফিরে এসেছে, ভিন্ন নামে এবং ভিন্ন স্লোগান নিয়ে। তবে এই শয়তান তার কৃতকর্মের দায় এড়াতে পারবে না। কোনো বাঙ্কারেও লুকিয়ে থাকতে পারবে না।

এদিকে দিনটি উপলক্ষে জার্মানিতে অবস্থানরত রাশিয়ানদের অনেকেই পুতিনের সমর্থনে সমাবেশের আয়োজন করতে পারেন বলে জানিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির বিভিন্ন শহরে গাড়িতে নিষিদ্ধ ‘জেড চিহ্ন’ প্রদর্শন করতে পারেন তারা।

ডি ভেল্ট পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসিডেন্ট থমাস হালডেনভাং বলেন, রাশিয়ার অপপ্রচার ছড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস হতে পারে এটি। পুরো জার্মানিতেই গাড়ির প্যারেড ও সমাবেশ হতে পারে। জেড চিহ্ন নিয়ে তারা এমন প্যারেড বা সমাবেশে অংশ নিতে পারে।

ইউক্রেন হামলার সময় রাশিয়ার অনেক সেনাবহরে ইংরেজি জেড অক্ষরের প্রতীকটি দেখা গেছে। পরে জার্মানির কয়েকটি রাজ্য এই চিহ্ন ব্যবহারকারীকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সমর্থক বলে চিহ্নিত করে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানী বার্লিনসহ বড় রাজ্যগুলোতে নিরাপত্তারক্ষীরা বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।