ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

নতুন পাসপোর্ট ইস্যু, পাকিস্তানে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
নতুন পাসপোর্ট ইস্যু, পাকিস্তানে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ নওয়াজ শরিফ -ফাইল ছবি

দেশে ফেরার জন্য পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী  ওমুসলীম লীগ (এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ নতুন পাসপোর্ট পেয়েছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার তার জন্য নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করেছে বলে সোমবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে।

বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। সম্প্রতি ইমরান খান সরকারের পতনের পরই তার দেশে ফেরার জল্পনা বাড়ছিল।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের  লন্ডনে অবস্থানরত বড়ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ যাতে দেশে ফিরতে পারেন, সে জন্য গত ২৩ এপ্রিল তার নামে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নওয়াজকে যে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে, এর মেয়াদ ১০ বছর।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, পাসপোর্টটি ‘জরুরি ভিত্তিতে ‘অর্ডিনারি’ অর্থাৎ সাধারণ ক্যাটাগরিতে ইস্যু করা হয়েছে। এরফলে বিশেষ কোনো কূটনৈতিক সুবিধা পাবেন না নওয়াজ শরিফ।

বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা চলছে। কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে, ঈদের পরপরই দেশে ফিরতে পারেন তিনি তখন সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছিলেন তার দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর নেতা মিয়াঁ জাভেদ লতিফও। এখন নওয়াজ শরিফ দেশে ফিরে আসলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে এক নতুন মোড় আসবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য নওয়াজকে লন্ডন যাওয়ার অনুমতি দেয় লাহোর হাইকোর্ট। তারপর আর দেশে ফেরেননি তিনি। নির্ধারিত সময়ে দেশে না ফেরায় ২০২১ সালে নওয়াজ শরিফকে ‘অপরাধী’ ঘোষণা দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, তখন নিজের ও কন্যা মরিয়ম নওয়াজের প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেন নওয়াজ শরিফ। সে কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাক সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ জানান তিনি। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ হয়েছে ইমরানের, সেই দায়িত্বে এখন নওয়াজের নিজের ছোটভাই শাহবাজ শরিফ।

উল্লেখ্য, পানামা পেপার্স মামলায় ২০১৭ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হন নওয়াজ শরিফ। এরপর তার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করে ইমরান সরকার। ২০১৮ সালে অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্ট আল-আজিজিয়া স্টিল মিল দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি অ্যাভেনফিল্ড সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় সব মিলিয়ে মোট ১১ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। সেই সঙ্গে ৮ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানাও করা হয় তাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, ২৬ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।