ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

মারিওপোলের ৩ লাখ মানুষের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে? 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
মারিওপোলের ৩ লাখ মানুষের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে?  মারিxপোলের রাস্তার পাশে একটি কবর খনন করা হচ্ছে

যুদ্ধে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোলের ৩ লাখ বাসিন্দার ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবরুদ্ধ এই শহর দখলে নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে রুশ সেনারা।

তবে শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।  

গত প্রায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় অবরোধ করে রাখা এই শহরে অব্যাহত গোলাবর্ষণের পর রোববার (২০ মার্চ) রাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লড়াইরত ইউক্রেনিয়ান সৈন্য এবং মাারিওপোল নগর সরকারকে সোমবার মস্কো সময় ভোর পাঁচটার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলে।

এর বিনিময়ে শহরের বাসিন্দা এবং ইউক্রেন সেনাদের দুটি নিরাপদ করিডর দিয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেন সরকার এবং মারিওপোলের স্থানীয় প্রশাসন আত্মসমর্পণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।  

ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইউক্রোনিস্কা প্রাভদা বলছে, ‘আত্মসমর্পণের বা অস্ত্র সমর্পণের কোনো প্রশ্নই ওঠে না’।

মারিওপোল শহরের মেয়রের উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, নিরাপদে চলে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি মস্কো দিয়েছে, তার ওপর বিশ্বাস করা যায় না এবং শেষ সেনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে।

আত্মসমর্পণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর রাশিয়া এখন কী করবে, মারিওপোল শহর এবং সেখানে আটকে পড়া ৩ লাখ বাসিন্দার কপালে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে গভীর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ সেখানকার অনেক জায়গায় পানি ও বিদ্যুৎ নেই। খাবারের জন্য হাহাকার।  

মারিওপোলের এই মানবিক পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে সেখানকার এমপি ইয়ারোস্লাভ জেলেজনিয়াক বলেন, তার শহর এখন কার্যত ‘পৃথিবীর বুকে নরক’। পুরো শহরটি ঘিরে রয়েছে রুশ সৈনারা। বিদ্যুৎ নেই, পানি সরবরাহ নেই। খাবার এবং ওষুধের মজুদ খুবই কম। মানুষ খাবার কষ্টে ভুগছে এবং রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

স্যাটেলাইট ও অন্য সূত্রে মারিওপোলের যেসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পুরো শহরটি কার্যত একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গত সপ্তাহের শহরের মেয়র ভাদিম বোভচেঙ্কো বিবিসিকে বলেন, শহরের ৮০ শতাংশ আবাসিক ভবন হয় বিধ্বস্ত হয়েছে, না হয় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তায়, রাস্তায় মরদেহ পড়ে রয়েছে। কিন্তু বোমা এবং গুলির ভয়ে সেগুলো সৎকারের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।

রুশ একজন জেনারেল পর্যন্ত বলেছেন মারিউপোলের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।

তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতির প্রধান দায় ইউক্রেনের। মস্কোর ভাষায়, কট্টর জাতীয়তাবাদীদের। তারাই বেসামরিক মানুষজনকে নিরাপদে চলে যেতে দিচ্ছে না, জিম্মি করে রেখেছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।