ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে কিলিং মিশনে ৪০০ ‘রুশ গুপ্তঘাতক’! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
ইউক্রেনে কিলিং মিশনে ৪০০ ‘রুশ গুপ্তঘাতক’!  ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

ইউক্রেনে টানা ৯ দিন ধরে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। এই অভিযানে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির কয়েক’শ বেসামরিক মানুষ মারা গেছে, ১০ লাখের বেশি শরণার্থী হয়েছে।

সামরিক হামলার পাশাপাশি ইউক্রেনে ৪০০ ভাড়াটে গুপ্তঘাতক পাঠিয়েছে রাশিয়া।  

দ্য টাইমসের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।  

এতে বলা হয়, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ৪০০ জনের বেশি ওয়াগনার গ্রুপের সদস্য রয়েছে। তারা ইউক্রেনে ২৪ জন কর্মকর্তাকে ‘হত্যার তালিকা’ নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছে। ওই কর্মকর্তাদের হত্যা করা গেলে ইউক্রেন সরকারে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে।  

একটি কূটনৈতিক সূত্র সংবাদপত্রকে বলেছে, গুপ্তঘাতকরা ইউক্রেনে একটি খুব হাই-প্রোফাইল মিশনে যাবে। একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার সেই মিশন রাশিয়ানরা অস্বীকার করতে পারবে।  

কূটনৈতিক সূত্রটি আরও জানায়, তাদের জন্য এটাই হবে সম্ভবত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মিশন। এটা যুদ্ধের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।  

ওই গুপ্তঘাতকরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অন্তত তিনবার হত্যার চেষ্টা করেছে। ৪৪ বছর বয়সী ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শনিবার কিয়েভের উপকণ্ঠে একটি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। তার কাছে পৌঁছানোর আগেই চেচেন হত্যাকারীদের একটি দলকে সেখান থেকে বের করে আনা হয়।  

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দুটি ভাড়াটে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তিনবার হত্যার চেষ্টা করে। তবে রাশিয়ার ভাড়া করা সেই গোষ্ঠীর পরিকল্পনা সফল হয়নি।  

ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সচিব স্থানীয় টিভি স্টেশনগুলোকে বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে, আমরা (রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস) থেকে তথ্য পেয়েছি, যারা এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নিতে চায় না’।  

দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই হত্যাচেষ্টার পেছনে ছিল ক্রেমলিন-সমর্থিত ওয়াগনার গ্রুপ। জেলেনস্কিকে তারা যদি হত্যা করতে সফল হতো, তাহলে মস্কো এই হত্যার ষড়যন্ত্রে সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করতে পারত।  

কমেডিয়ান থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতিহাসের কঠিনতম সময়ে ইউক্রেনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তার সেনাবাহিনী।  

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভ থেকে জেলেনস্কিকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।