ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইসলামাবাদে প্রথম হিন্দু মন্দির নির্মাণে বাধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
ইসলামাবাদে প্রথম হিন্দু মন্দির নির্মাণে বাধা

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রথম হিন্দু মন্দির নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এ মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারই অনুদান দিয়েছিল। কিন্তু ইসলামি সংগঠনের ফতোয়া জারির পর পিছু হটেছে ইমরান সরকার। 

মন্দির নির্মাণ বন্ধে আদালতে পিটিশন দাখিলও করা হয়েছে।  

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের জোটসঙ্গী পাকিস্তান মুসলিম লিগ– কায়েদ (পিএমএল-কিউ) ‘মন্দির নির্মাণ ইসলামি আদর্শের পরিপন্থী’ বলে বিরোধিতা করে।

 

এর আগে লাহোরভিত্তিক ইসলামি সংগঠন জামিয়া আশরাফিয়া হিন্দু মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে।

ফলে পাকিস্তানের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডিএ) প্রস্তাবিত মন্দিরের নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে।  

জানা গেছে, পাকিস্তান সরকার এ মন্দির নির্মাণের জন্য অনুমতি দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেই এ মন্দির নির্মাণে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন।  

মানবাধিকার সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি লাল চাঁদ মালহির উপস্থিতিতে ওই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।  

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ হাজার বর্গফুটের ওই শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে একটি শ্মশান ও কমিউনিটি হল নির্মাণের কথা ছিল।  

ইসলামাবাদের হিন্দুরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের কাছে উপাসনার জন্য একটি মন্দির ও শ্মশানের জন্য জায়গা চেয়ে আসছিলেন।

শেষ পর্যন্ত ইমরান সরকার ওই মন্দির নির্মাণের জন্য জায়গা ও অর্থ বরাদ্দ দেয়। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের ৮০ লাখ হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকার করেছিলেন ইমরান খান।

গত সপ্তাহে মন্দিরটির সীমান প্রাচীর নির্মাণ শুরু হয়। এরইমধ্যে ইসলামি সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়।  

জানা গেছে, সরকার বিষয়টি ইসলামিক আদর্শ বিষয়ক কাউন্সিলের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। ইসলামি আইন কী বলে সে বিষয়টি তারা জানাবেন। তবে পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ধর্মীয় নেতা ও আলেমদের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করছেন।  

আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজা খালিদ বলেছেন, মন্দির নির্মাণ বন্ধ করা হলে তা পাকিস্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর বিচারক বলেছেন, ইসলামিক আদর্শ বিষয়ক কাউন্সিলের বক্তব্য না আসা পর্যন্ত রায় দেওয়া হবে না।  

এদিকে মন্দির নির্মাণ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ইসলামাবাদের কোনো হিন্দু মন্দির গড়ে ওঠেনি। ২০১৭ সালে এ মন্দির নির্মাণের অনুমোদন দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা দীর্ঘসূত্রিতার মুখে পড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।