ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বালি দ্বীপে ফুঁসছে মাউন্ট আগুং, ভয়াবহ বিস্ফোরণের শঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
বালি দ্বীপে ফুঁসছে মাউন্ট আগুং, ভয়াবহ বিস্ফোরণের শঙ্কা ফুঁসতে থাকা মাউন্ট আগুং এর ছবি তুলছে এক শিশু।

ঢাকা: ফের জেগে ওঠা মাউন্ট আগুং আগ্নেয়গিরির গর্জাতে থাকা জ্বালামুখ থেকে ধোঁয়া উদগীরণ হচ্ছে প্রবল প্রতাপে। পর্বতের চূড়া থেকে প্রায় ৫ হাজার ফুট উঁচুতে উঠে যাচ্ছে ধোঁয়া। অ্যাগং পর্বতরে চারপাশের সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকার সব অধিবাসীকে যতো দ্রুত সম্ভব সরে যেতে বলা হয়েছে। জারি করা হয়েছে দ্বিতীয় স্তরের অগ্ন্যুৎপাত সতর্কতা।

যে কোনো সময় এর বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৬৩ সালে ‍এই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১৬শরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে বলে স্মরণ করিয়ে সবাইকে সতর্ক করছেন তারা।

১৯৬৩ সালের পর গত বুধবার ফের ধোঁয়া উদগীরণ শুরু হওয়ায় বালি দ্বীপ থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে যান হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু শনিবার ফের নতুন করে ধোঁয়া উদগীরণ শুরু হলে বালি দ্বীপে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলো অধিকাংশ উড়াল বন্ধ করে দেয়। এয়ারপোর্টে জারি করা হয় রেড এলার্ট। কেবল এয়ার এশিয়াই বাতিল করে ৩২টি ফ্লাইট। ফলে এখনো হাজার হাজার পর্যটক আটকা পড়ে আছে ইন্দোনেশিয়ার ‘রিসোর্ট আইল্যান্ড’ নামে পরিচিত বালি দ্বীপে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্বতের আশপাশের বসতিও ছড়িয়ে পড়েছে গরম ধোঁয়া। ওইসব এলাকার অধিবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। এরই মধ্যে দুই শতাধিক অস্থায়ী আবাস গড়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার অধিবাসীকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশান্ত ‘আগুন বলয়’ এ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার ভূগর্ভে টেকনোনিক প্লেট প্রায়শই পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এর ফলে অগ্নুৎপাত ও ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।
মাউন্ট আগুং এর মতো ২০১৩ সালে সক্রিয় হওয়া সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট সিনাবুং আগ্নেয়গিরি এলাকাতেও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রাখা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।