যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরায়েলিরা ব্যবহার করেছে। এমনটি বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির অধ্যাপক স্কট লুকাস।
ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিনের এই অধ্যাপকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এতদিন পর্যন্ত কূটনৈতিক পথে হাঁটার পর কেন হঠাৎ ইরানের ওপর হামলা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
জবাবে তিনি বলেন, ‘কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরায়েলিরা ব্যবহার করেছে; কেউ কেউ বলছেন তারা তাকে প্রভাবিত করেছে। ’
লুকাস বলেন, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্প প্রশাসনকে জানান, তার দেশ ইরানে হামলা চালাতে যাচ্ছে। যদিও এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক পথে হাঁটার চেষ্টা করবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর ট্রাম্প প্রশাসন জুন ৮ তারিখে সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করবে। পরে ১৩ জুন এই হামলা শুরু হয়।
এই অধ্যাপক বলেন, সেই থেকে ইসরায়েল শুধু পারমাণবিক স্থাপনা নয়, সামরিক এবং বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়ে আসছে। তিনি এটিকে ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
লুকাস আরও বলেন, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ট্রাম্পের সামনে দুই ধরনের ঝুঁকি তৈরি রয়েছে। প্রথমত ‘বাংকার বাস্টার’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সত্যিই ফোর্ডোতে ক্ষতি করেছে কি না, আর দ্বিতীয়ত, এই হামলার কারণে তার দল এবং সমর্থকদের মধ্যে তৈরি বিভাজন।
এই অধ্যাপকের অনুমান, এই হামলা যদি একবারই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে ট্রাম্প হয়তো নিজের দলের ভেতরকার বিভাজনের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
কিন্তু তিনি সতর্ক করে বলেন, আর যদি ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং অন্যান্য পারমাণবিক স্থাপনা চলতে থাকে, তাহলে আমেরিকানদের হয়তো আবার হামলায় ফেরত যেতে হবে এবং এতে ট্রাম্প কিছু সমর্থকদের বিরোধিতার সম্মুখীন হবেন।
১৩ জুন প্রথমে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে ইরান ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায়। এতদিন দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছিল। সবশেষ এই সংঘাতে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র।
আরএইচ