ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তেহরানের বাসিন্দাদের শহর ছাড়ার নির্দেশনা ‘মানসিক চাপ তৈরির কৌশল’ বলে দাবি করেছে ইরান। দেশটির সরকার বলছে, এ ধরনের বার্তা ‘শত্রুর মনস্তাত্ত্বিক অপারেশনে’র অংশ।
ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, সাইবার হামলা মোকাবিলার অংশ হিসেবে দেশের ইন্টারনেট সংযোগ ‘মন্থর করে দেওয়া হয়েছে’।
এর আগে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য তেহরানের বাসিন্দাদের ‘মূল্য দিতে হবে’। একইসঙ্গে তিনি অস্ত্র কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ইরানিদের সেসব এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে বিবিসির পার্সিয়ান সার্ভিসের প্রতিবেদক ঘোনচেহ হাবিবিয়াজাদ জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান ছেড়ে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলোতে এখনও ভারী যানজট রয়েছে। জ্বালানির জন্য লাইন ধরে মানুষ অপেক্ষা করছেন।
তবে অনেকে শহর ছাড়তে পারছেন না। এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, আমার তেহরানের বাইরে কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। কোথায় যাব?
তেহরানে ফের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান নতুন করে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
সোমবার সকালের দিকে চালানো এই পাল্টা হামলায় তেল আবিব ও হাইফাসহ বিভিন্ন শহরে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জন নারী ও শিশু।
আরএইচ