মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা কমাতে অনুষ্ঠিত আলোচনা একটি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়েছে। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে ম্যাগনেট ও বিরল খনিজ ধাতু সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হুমকি থেকে সরে আসবে।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, এখন শুধু প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং আমার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
এর আগে লন্ডনে টানা দুই দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মে মাসে সাময়িক সমঝোতায় পৌঁছানোর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিরসনের লক্ষ্যেই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শুল্ক আরোপ নিয়ে উত্তেজনার জেরে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের শুল্কনীতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে— এই কৌশল আদৌ দ্রুত কার্যকর বাণিজ্য চুক্তি আদায়ে সক্ষম কি না।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য একতরফাভাবে শুল্কহার নির্ধারণ করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৯ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তির শর্তাবলী উল্লেখ করে বিভিন্ন দেশের কাছে পত্র পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উচ্চ শুল্ক পুনর্বহাল করার সময়সীমা অনুসরণ করা হবে।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে কিছু শুল্ক স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফোনে কথা বলার মাধ্যমে আলোচনার সূচনা করেন। এই আলোচনায় দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জানা গেছে, নতুন চুক্তি মে মাসের চুক্তির মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনেনি। ওই চুক্তিতে নতুন শুল্ক কিছুটা কমানো হয়েছিল, তবে পুরোপুরি তুলে ফেলা হয়নি, যা ট্রাম্পের নেতৃত্বে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ ছিল।
আরএইচ