ভারতের উত্তরপ্রদেশে রোববার (১ জুন) সন্ধ্যায় ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাত্র ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী শনিবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হৃদয়বিদারক তথ্য। তরুণীর শরীরে ৪০টিরও বেশি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তার গোপনাঙ্গেও আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকেরা।
এই ঘটনার পর ২০ বছর বয়সী মোহাম্মদ রফি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পোল্ট্রি বিক্রেতা এই যুবক নিজেকে নিহত তরুণীর প্রেমিক দাবি করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানান, মেয়েটি গত তিন মাস ধরে অন্য এক যুবকের সঙ্গে কথা বলছিল— এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। প্রথমে গলা চেপে ধরার চেষ্টা করেন, পরে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করতে থাকেন, যতক্ষণ না সে নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
যদিও ধর্ষণের প্রমাণ ময়নাতদন্তে মেলেনি, তবে পুলিশ বলছে, গোপনাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত ‘প্রতিশোধপরায়ণতার’ ইঙ্গিত দেয়।
নিহত তরুণীর মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় তার মেয়ে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফেরেনি। বহু খোঁজাখুঁজির পর মেয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি দাবি করেছেন, মোহাম্মদ রফি দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করছিলেন এবং সম্পর্কের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রফির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নতুন ধারা অনুযায়ী (বিএনএস ১০৩) হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। খুব শিগগিরই চার্জশিট দাখিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এমএম