তীব্র সংঘাত আর দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর অবশেষে এক টেবিলে বসলো তুরস্ক ও সিরিয়া। শনিবার(২৪ মে) ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন।
রুদ্ধদ্বার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যু উঠে আসে। জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও পরিবহন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ আরও শান্তিপূর্ণ ও আলোকোজ্জ্বল হবে। আঙ্কারা শুরু থেকেই দামেস্কের পাশে ছিল, আগামীতেও থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের দখলদারি ও আগ্রাসন আমরা কখনোই মেনে নেব না। তুরস্ক সবসময় এর বিরোধিতা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এটাই ছিল সিরীয় প্রেসিডেন্ট আল শারার প্রথম তুরস্ক সফর। এরদোয়ান এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অধীনে দেশ পরিচালনার বিষয়টি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জবাবে প্রেসিডেন্ট আল শারা এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দামেস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আপনার উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী।
বৈঠকে এরদোয়ানের সঙ্গে ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার, গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিনসহ সরকারের শীর্ষ নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতিনির্ধারকেরা।
সিরিয়ার প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শাইবানি ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এমএম