ঢাকা, বুধবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ মে ২০২৫, ২৩ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজা নিয়ে ইসরায়েলকে কঠোর বার্তা যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স-কানাডার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৩, মে ২০, ২০২৫
গাজা নিয়ে ইসরায়েলকে কঠোর বার্তা যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স-কানাডার গাজায় হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল

গাজায় নতুন সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে এবং উপত্যকাটিতে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে না দিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স।

সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক যৌথ বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেন।

এতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়ল।

ইসরায়েলি বাহিনী গত শুক্রবার গাজায় নতুন এক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েল পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেবে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই সেখানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিক লোকেদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশ না করতে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ইসরায়েল সরকার নিয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কা তৈরি করছে।

‘আমরা পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের কোনো চেষ্টা বরদাশত করব না... প্রয়োজন হলে আমরা সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পিছপা হব না। ’

প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেছেন, লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য একটি বড় পুরস্কারের ঘোষণা দিলেন। তারা সামনে আরও এমন হত্যাকাণ্ডের সুযোগ তৈরি করছেন।

তিনি বলেন, ইসরায়েল ন্যায্য উপায়ে আত্মরক্ষা করবে যতক্ষণ না সম্পূর্ণ বিজয় অর্জিত হয়। তিনি যুদ্ধ শেষ করার শর্তাদি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ইসরায়েল মার্চের শুরু থেকে গাজায় চিকিৎসা সামগ্রী, খাবার এবং জ্বালানি প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে চাপ দিতে চাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গোষ্ঠীটি ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল।

ওই যৌথ বিবৃতিতে তিন নেতা বলেন, আমরা সবসময়ই ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে আসছি। কিন্তু এই উগ্রতা সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ। নেতানিয়াহুর সরকার যখন এই গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন তারা চুপচাপ বসে থাকবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রচেষ্টাকে তারা সমর্থন জানান এবং দুই রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।