পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারত তার টেরিটোরিয়াল আর্মি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতোমধ্যে টেরিটোরিয়াল আর্মির ৩২টি ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের মধ্যে ১৪ সক্রিয়ভাবে মোতায়েন করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘বর্ধিত প্রস্তুতি ও কৌশলগত শক্তি বৃদ্ধির’ অংশ হিসেবে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে মোতায়েনের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। মূলত, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, আর তারই প্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতের টেরিটোরিয়াল আর্মি (টিএ) হলো একটি খণ্ডকালীন স্বেচ্ছাসেবী রিজার্ভ বাহিনী, যা জাতীয় জরুরি অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন হলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে। এটি ‘সিটিজেন-সোলজার’ বাহিনী নামেও পরিচিত।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর তথ্যমতে, ভারতের সক্রিয় সামরিক সদস্য প্রায় ১৪.৭৫ লাখ এবং আধাসামরিক বাহিনীতে আরও ১৬ লাখ সদস্য রয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের সক্রিয় সামরিক সদস্য সংখ্যা সাত লাখের কম এবং আধাসামরিক বাহিনী প্রায় ২.৯ লাখ।
পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের সামরিক অপারেশনের আওতায় পাকিস্তানে আক্রমণ চালিয়েছে। ভারতের পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির ওপর এই অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযান ছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর ভারতের প্রথম কোনও ত্রিস্তরীয় (বিমান, নৌ ও স্থল বাহিনী) সামরিক প্রতিক্রিয়া।
ভারত জানিয়েছে, পহেলগাঁওসহ বিভিন্ন হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএম