পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় মিসাইল ছুড়েছে ভারত। এতে আটজন নিহত হয়েছেন।
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ এমন পরিস্থিতিতে বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। দুই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় মার্কো রুবিও বলেছেন, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমি আজ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করছি যে, আমরা আশা করি এ উত্তেজনা দ্রুত শেষ হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষের নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
I am monitoring the situation between India and Pakistan closely. I echo @POTUS's comments earlier today that this hopefully ends quickly and will continue to engage both Indian and Pakistani leadership towards a peaceful resolution.
— Secretary Marco Rubio (@SecRubio) May 6, 2025
আগের দিন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা দ্রুত হ্রাস পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছিলেন, তারা (ভারত-পাকিস্তান) অনেক দিন ধরে লড়াই করে আসছে। তারা বহু দশক ধরে লড়াই করে আসছে। আশা করি এটি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। তার সেই মন্তব্যের পরই আজ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একইরকম বক্তব্য দিলেন।
এদিকে পাকিস্তানে ভারতের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘের মহাসচিবের আন্তোনিও গুতেরেসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত বিশ্ব বহন করতে পারে না। ’
মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কোটলি, বাহাওলপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভারতের হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলেছে পাকিস্তান।
এদিকে ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে।
গত ২২ এপ্রিলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় ইসলামাবাদকে দায়ী করে আসছে দিল্লি। তবে পাকিস্তান বলে আসছে, ওই অভিযোগের কোনো প্রমাণ ভারত এখনো দেখাতে পারেনি। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
এসএএইচ