সুদানের পোর্ট সুদান শহরে টানা তৃতীয় দিনের মতো হামলা চালিয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
গৃহযুদ্ধে পালিয়ে আসা হাজারো মানুষের আশ্রয়স্থল পোর্ট সুদান। একসময় নিরাপদ স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল শহরটি। ভোরের দিকে আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। খবর বিবিসির।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন হামলায় শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে একটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বিবিসির নিউজডে অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ক্রিস্টিনা কারার বলেন, আমি পুরো শহরের চারপাশে বিশাল ধোঁয়ার মেঘ আর আগুন দেখছি... আর এখনই আরও দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনলাম। পুরো দৃশ্যটা যেন এক মহাপ্রলয়ের মতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানান, পোর্ট সুদান বিমানবন্দরের বেসামরিক অংশে একটি ড্রোন হামলা চালায়। আরেকটি ড্রোন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রধান সেনাঘাঁটিতে আঘাত হানে।
এএফপি জানায়, তৃতীয় একটি ড্রোন শহরের ঘনবসতিপূর্ণ কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দক্ষিণ বন্দর এলাকার একটি জ্বালানি ডিপোতে আঘাত হানে। খার্তুম থেকে স্থানান্তরিত হয়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ত্রাণ সংস্থাগুলো এবং সুদানের সেনাবাহিনী সেখানেই অবস্থান নিয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের বাসভবনের কাছে অবস্থিত একটি প্রধান হোটেলও হামলার শিকার হয়েছে। সেনাবাহিনী এই ড্রোন হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছে। রোববার ড্রোন হামলা শুরু হয়। আরএসএফ এখনও এই হামলা নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে দুই বছরের যুদ্ধ কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ যুদ্ধে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। দুই পক্ষকেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরএইচ