বিমানবন্দরে সাধারণত আমরা কী দেখি? লম্বা লাইন, ব্যস্ত মুখ, ঘুম ঘুম চোখে কফির কাপে চুমুক দেওয়া যাত্রী। কিন্তু কেউ যদি বলেন, হঠাৎ একজনে স্যুটকেসে চড়ে ঢুকে পড়লেন টার্মিনালে, ছুঁড়ে ফেললেন জুতো, আর তারপর শুরু করেন নাটকীয় এক নৃত্য— তাও আবার সেলিন ডিওনের আবেগঘন গানের তালে—তাহলে কেমন দাঁড়ায় বিষয়টা?
এই আশ্চর্য দৃশ্যই বাস্তব করে তুলেছেন কানাডিয়ান ড্যান্সার ব্লেক ম্যাকগ্রাথ।
ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পরপরই ভাইরাল হয়— এখন পর্যন্ত ভিউ ৬.৭ মিলিয়নেরও বেশি। কিন্তু এটি একক কোনো পারফরম্যান্স ছিল না; এটি ছিল একটি গ্লোবাল ট্রেন্ডের জন্ম। টিকটক আর ইনস্টাগ্রামে আজ মানুষের ব্যাগেজ ক্লেইমের নানা ভিডিও ঘুরছে, যেখানে তারা গেটের সামনে 'পিরুয়েট' করছে, নাচ করছে, কখনোবা গড়িয়ে পড়ছে মেঝেতে, আর পেছনে বাজছে সেই চেনা সুর— ‘ইট’স অল কামিং ব্যাক টু মি নাউ’।
ম্যাকগ্রাথের এই ট্রেন্ড যেন ক্লান্তি আর রুটিনভরা যাত্রায় খানিকটা রং ছড়িয়ে দিল। তিনি এখন একাধিক এয়ারপোর্টে এই নাচ পরিবেশন করেছেন— আরও করছেন নিয়মিত। এমনকি কিছু এয়ারপোর্ট নিজেরাই ডাক পাঠিয়েছে তাকে, আর একটি এয়ারলাইনের সঙ্গে চুক্তির কথাও চলছে।
ব্লেক বলেন, আমি শুধু চাই মানুষ একটু আনন্দ পাক, আমাদের চারপাশে এত নেতিবাচকতা—এই ছোট্ট একটা মুহূর্ত যদি কারও মুখে হাসি এনে দেয়, সেটাই তো বড় প্রাপ্তি।
এই ট্রেন্ড শুধু পেশাদার ড্যান্সারদের জন্য নয়। সাধারণ ভ্রমণকারীরাও এতে অংশ নিচ্ছেন— কেউ হাসিমুখে, কেউ উচ্ছ্বাসে।
যেমন, ফটোগ্রাফার সাইন্ডি পাইলস, যিনি নিজে ড্যান্সার নন। তিনি বলেন, এটা আমাকে মনে করিয়ে দেয় একটু থেমে চারপাশটা উপভোগ করার কথা। সবাই যখন ছুটছে, তখন কেউ একজন একটু নেচে মজা করলে সেটা একটা সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করে।
ব্লেক ম্যাকগ্রাথ চান, এই ট্রেন্ড মানুষকে আবার শিশু সুলভ আনন্দ ফিরে পেতে সাহায্য করুক। তিনি বলেন, আমি চাই, মানুষ যেন অনুভব করে— এখনো অনেক ভালো কিছু হতে পারে এই পৃথিবীতে।
এমএম