ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

পরমাণু প্রযুক্তিতে আগ্রহ বাড়িয়েছে ‘নিউক্লিয়ার বাস ট্যুর’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
পরমাণু প্রযুক্তিতে আগ্রহ বাড়িয়েছে ‘নিউক্লিয়ার বাস ট্যুর’

ঢাকা: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি জনমনে আগ্রহ সৃষ্টি, পরমাণু প্রযুক্তি ও এর নিরাপত্তা এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যতিক্রমধর্মী নিউক্লিয়ার বাস ট্যুরের আয়োজন করেছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন- রোসাটম।

পাঁচ দিনব্যাপী এই বাস ট্যুরে পরমাণু প্রযুক্তির প্রতি জনসাধারণের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।

গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাস ট্যুরের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শৌকত আকবর। গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে এই বাস ট্যুর শেষ হয়।

রোসাটম সাউথ এশিয়া মার্কেটিং (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেই শেভলিয়াকভ বলেন, রাশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ কমিউনিকেশন কর্মসূচির আওতায় আমরা পরীক্ষামূলকভাবে এই বাস ট্যুরের আয়োজন করেছি। উদ্যোগটির অভাবনীয় সাফল্য দ্বারা আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত। আগামী বছরগুলোতেও এ জাতীয় বাস ট্যুর আয়োজনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি।

বিশেষভাবে সজ্জিত একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস ‘নিউক্লিয়ার বাস‘ পরিচয়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং চট্রগ্রাম বিভাগের ১৫টির বেশি জেলা পরিভ্রমণ করে। এই বাসে ভ্রমণকারী ঢাকা পরমাণু শক্তি তথ্যকেন্দ্র (আইসিওএনই) এবং ঈশ্বরদী পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্রের (পিআইসি) তরুণ প্রকৌশলীরা বিভিন্ন জেলায় ৩০টির বেশি রোড-সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে। সব বয়সের চার হাজার ৮০০-এর বেশি মানুষ এসব ইভেন্টে অংশ নেয়।

প্রতিটি ইভেন্টে তরুণ পেশাদাররা অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মতবিনিময় করেন। এছাড়া তারা পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং গেমস ছিল ইভেন্টগুলোর অতিরিক্ত আকর্ষণ। সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা পুরষ্কার হিসেবে বিভিন্ন স্যুভেনির লাভ করেন। এছাড়াও আগ্রহীদের মধ্যে তথ্যমূলক লিফলেট ও বিভিন্ন বই বিতরণ করা হয়।

রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় ঈশ্বরদী জেলার রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে নির্মীয়মান দু’টি ইউনিটের প্রতিটিতে স্থাপিত হবে একটি করে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর। এই রিয়্যাক্টরগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণভাবে সক্ষম।

বাংলাদেশ সময় ১৪৩৬, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এসকে/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।