ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

শেষ হলো সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
শেষ হলো সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০ শেষ হলো ভার্চ্যুয়াল সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০

ঢাকা: সমাপনী অনুষ্ঠান আর পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো সিটি ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০। ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী এবারের আয়োজনের পুরোটাই সম্পন্ন হয়েছে অনলাইনে

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে এবারের আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসাইন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের কার্যকরি পরিষদের সদস্য এবং সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০ এর যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সোহায়েল রেজা বক্তব্য রাখেন। তিনি সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের ক্লাউড ইনোভেশন সেন্টার ও ইনোভেশন হ্যাকাথনের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসনে আরা বেগম সিটিও ফোরাম বাংলাদেশে এমন আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদেশের শতকরা ৩৫ ভাগ জনগোষ্ঠী বর্তমানে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিত্ব করছে। এর সুফল পেতে হলে তরুণদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। ’

অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ যারা বিজয়ী হতে পারনি, তারা সংকল্প করো যেন আগামী প্রতিযোগিতায় তোমরা বিজয়ী হতে পারো। এসময় হাইটেক পার্কে সিটিও ফোরামের ইনোভেশন সেন্টারের জন্য স্থান বরাদ্দের আশ্বাস দেন তিনি। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এবিএম আরশাদ হোসাইন অংশগ্রহণকারীদের তৈরি বিভিন্ন সমাধান সম্পর্কে তার মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করেন এবং পরবর্তী আয়োজনে আইসিটি অধিদপ্তরের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন- ২০২০ এর আহ্বায়ক, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। প্রথম সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০ এর সেরা উদ্ভাবক দল হয়েছে টিম আলফা। ওয়েবভিত্তিক প্যারামেডিক সার্ভিস বিষয়ক অ্যাপ তৈরি করে এ জয় পেয়েছে সাইয়েদা ফাহিমা জান্নাতের ছয় সদস্যের দল। প্রথম রানার্স আপ হয়েছে ডিজি ট্রি। এ দলের নেতৃত্ব দিয়েছে তারেক মাহমুদ। তারা তৈরি করেছে আইনি সহায়তার ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট। টেলিমেডিসিন সেবা খাতে ‘স্মার্ট ডাক্তার’ প্রকল্পে মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন টিম ডার্ক লাইট দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় আবহাওয়ার খবর দেয়ার চ্যাটবট তৈরি করে স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ফারজানা রহমানের নেতৃত্বাধীন ব্লুবার্ড। স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড ও প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ দলের প্রত্যেকে পুরষ্কার হিসেবে সনদপত্র ও পদকের পাশাপাশি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের সৌজন্যে পেয়েছেন ২০০ মার্কিন ডলারের গিফট ভাউচার এবং চ্যাম্পিয়ন দল সার্টিফিকেট ও ক্রেস্টের পাশাপাশি পেয়েছে ৫০০ ডলারের গিফট ভাউচার ও অ্যামাজন অ্যালেক্সা।

সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আসিফ। হ্যাকাথনে বিচারকদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারক অ্যামাজন ইউএসএর সলিউশন আর্কিটেক্ট মাহাদি-উজ-জামান এবং সিনিয়র সলিউশন আর্কিটেক্ট রমেশ দ্বারকানাথ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এ আয়োজনের অ্যাসোসিয়েট পার্টনার ওয়াইইএফ গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কাজী হাসান রবিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এসএইচএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।