ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

এশিয়া-প্যাসিফিকে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করবে হুয়াওয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এশিয়া-প্যাসিফিকে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করবে হুয়াওয়ে

ঢাকা: ‘হুয়াওয়ে কানেক্ট’ থেকে এবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ভবিষ্যতে ইন্টেলিজেন্ট সোসাইটি তৈরিতে প্রবৃদ্ধিশীল ইকোসিস্টেম গঠন এবং সমস্যা কেন্দ্রিক সমাধান দেওয়ার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব পেয়েছে। এ নিয়ে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই অঞ্চলের সাংবাদিকের সঙ্গে এক অনলাইন কনফারেন্সে ডিজিটাল রূপান্তর ও এতে নিজেদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে হুয়াওয়ে।

মতবিনিময়কালে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন বলেন, ‘২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ফাইভজি নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটেছে, ফলশ্রুতিতে কানেকটিভিটি, কম্পিউটিং, ক্লাউড, এআই ও অ্যাপ্লিকেশন খাতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে তৈরি হয়েছে এক ডিজিটাল রূপান্তরের অপার সম্ভাবনা’।

তিনি বলেন, ‘এই পাঁচটি টেক ডোমেইনের সমন্বয় পরিবহন, ফাইন্যান্স, এনার্জি কিংবা অন্য যেকোনো খাতের কাঠামোকে পুরোপুরি পাল্টে দিতে পারে এবং এটি এ অঞ্চলের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে’।

আইডিসি ওয়ার্ল্ডওয়াইড সেমিঅ্যানুয়াল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্পেন্ডিং গাইড অনুসারে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০১৯ সালে ডিজিটাল রূপান্তর বাবদ ৩৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এর বাৎসরিক কম্পাউন্ড গ্রোথ রেট ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

জে চেন বলেন, ‘এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি, যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষের আবাসন এবং মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৫০ শতাংশের অবস্থান এ অঞ্চলে। আমাদের এই অঞ্চল শুধু যে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বিকাশ ঘটানোর জন্য আদর্শ তাই নয়, বরং একটি সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ উপযোগিতা ব্যবহার করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভুতপূর্ব সুযোগ এখানে রয়েছে। ’

শুক্রবারে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাসেন্ড ইকোসিস্টেম অনলাইম ফোরামে হুয়াওয়ে জানায়, অ্যাপাক অ্যাসেন্ড পার্টনার প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য উদ্ভাবনী ও টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি করা, যা ইতোমধ্যেই একশ’র বেশি আইএসভি পার্টনারের সঙ্গে কাজ করছে এবং এ অঞ্চলে হায়ার লার্নিং ইনস্টিটিউট এবং সরকারি সংস্থার সঙ্গে ২৭টি এমওইউ করেছে।

উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন ও টেকসই এআই ইকোসিস্টেম গঠনের উদ্দেশ্যে করে সক্রিয় তাদের এপিএসি অ্যাসেন্ড পার্টনার প্রোগ্রাম ১শটিরও বেশি আই এসভি পার্টনার পেয়েছে এবং সমগ্র অঞ্চলব্যাপী ২৭টির বেশি হায়ার লার্নিং ইনস্টিটিউশন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমওইউ সই করেছে।

ওয়ার্কফোর্স চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হুয়াওয়ে মালয়েশিয়াতে হুয়াওয়ে আসিয়ান অ্যাকাডেমি, সিঙ্গাপুরে এআই অ্যাকাডেমিসহ গোটা এশিয়া প্যাসিফিকজুড়ে হুয়াওয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, এর মাধ্যমে প্রযুক্তি বিষয়ে মেধাবীদেরকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায়। এখন পর্যন্ত হুয়াওয়ে এই অঞ্চলে ১০৩টিরও বেশি আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে।

অনুষ্ঠানে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে অন্তত দুই লাখ পেশাদার আইসিটি কর্মী তৈরি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জে চেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।