ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

আম্পানে ৫০-৬০ শতাংশ টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত, নেটওয়ার্ক বিঘ্ন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
আম্পানে ৫০-৬০ শতাংশ টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত, নেটওয়ার্ক বিঘ্ন

ঢাকা: সুপার সাইক্লোন আম্পানে দেশের টেলিকম নেটওয়ার্ক অবকাঠামোয় অনেক ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ।

তিনি জানান, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহীর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মোবাইল টাওয়ারের সাইট এ দানবীয় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে টেলিকম সেবাকে ব্যাহত করছে।

এমটব জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে অনেক অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে অপারেটররা ব্যাটারির সাহায্যে মোবাইল টাওয়ারগুলো চালু রাখে। তবে ব্যাটারির ক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে, অপারেটররা সেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য জেনারেটরের সাহায্য নেয়।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) বেলা ১১টা পর্যন্ত টাওয়ারের প্রায় ৩০ শতাংশ বা ১৩ হাজার সাইট জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছিল না। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩৫ হাজার মোবাইল টাওয়ার রয়েছে।

এমটব এক বিবৃতিতে জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করতে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নিরলস পরিশ্রম আমাদের জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তবে যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারগুলো বেশিরভাগ পল্লী অঞ্চলে অবস্থিত, তাই প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে সেবা পুনরুদ্ধারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিশেষ সহায়তার প্রয়োজন।

এদিকে সারাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে মোবাইল সেবাদানকারী ও তাদের অংশীদার সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেছে এমটব।

এমটব আর জানায়, টেলিকম অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা জরুরি, যা চলমান করোনার মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।